Class Eight 3rd Week Science Assignment Answer Given Here.
উত্তর সমূহ
তারিখ : –/—/২০২২ ইং ।
বরাবর ,
প্রধান শিক্ষক,
XYZ
ঢাকা-১২০৭ , বাংলাদেশ ।
বিষয় : স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টিতে অজীবের প্রভাব এবং সচেতনতা সৃষ্টি ।
জনাব,
বিনতি নিবেদন এই যে , আপনার আদেশ নং বা.উ.বি.৩৫৫-১ তারিখ : –/—/২০২২ ইং অনুসারে উপরােক্ত বিষয়ের উপর আমার স্বব্যখ্যাত প্রতিবেদনটি নিন্মে পেশ করলাম ।
( ক ) নং প্রশ্নের উত্তরঃ
অণুজীবঃ নিম্নশ্রেণির যে সকল জীব অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া দেখা যায় না, তাদেরকে অণুজীব বলে । উদ্দীপকে উল্লিখিত ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া ও অ্যামিবা হচ্ছে অণুজীব।
নিম্মে অণুজীব হিসেবে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার প্রকৃতি বর্ণনা করা হলোঃ
ভাইরাসের প্রকৃতিঃ ভাইরাস অতি ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক জীব । এদের দেহে কোষপ্রাচীর , প্লাজমালেমা , সুগঠিত নিউক্লিয়াস , সাইটোপ্লাজম ইত্যাদি কিছুই নেই। এরা শুধু প্রোটিন আবরণ ও নিউক্লিক এসিড নিয়ে গঠিত। এজন্য ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলা হয়।
ব্যাকটেরিয়ার প্রকৃতিঃ ব্যাকটেরিয়া হলো আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত অণুজীব। এরা সচরাচর অসবুজ ও এককোষী অণুবীক্ষণিক জীব। এদের কোষের কেন্দ্রিকা সুগঠিত নয়। কেন্দ্রিকা সুগঠিত না থাকায় ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী বলা হয়। এর কোষ সাধারণত গোলাকার , দন্ডাকার , কমা আকার , প্যাঁচানো ইত্যাদি আকৃতির।
( খ ) নং প্রশ্নের উত্তরঃ
স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টিতে ভাইরাস ও এন্টামিবা অণুজীব দুইটির প্রভাব নিম্মে আলোচনা করা হলোঃ
স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টিতে ভাইরাসের প্রভাবঃ
১। স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টিতে ভাইরাস মারাত্মক রূপ ধারণ করে । যেমন- মানবদেহে ভাইরাস সর্দি , ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগ সৃষ্টি করে।
২। ভাইরাসের সংক্রমণে এইডস রোগ হয়। অসুস্থ লোকের রক্ত গ্রহণ , মাদক গ্রহণ , এক গ্রহণ ও এ
স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টিতে এন্টামিবার প্রভাবঃ
১। স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টিতে এন্টামিবা ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। এন্টামিবা অণুজীব দ্বারা এমিবিক আমাশয় হতে পারে। সাধারণ এন্টামিবা নামক এককোষী প্রাণীর আক্রমনে এমিবিক আমাশয় হয়ে থাকে।
২। এটি মানুষের বৃহদান্তে অবস্থান করে এবং কোষ বিভাজন ও অণুজীব সৃষ্টির মাধ্যমে বংশবিস্তার করে।
( গ ) নং প্রশ্নের উত্তরঃ
অণুজীব সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রতিরোধে করণীয়ঃ বিভিন্ন ধরনের অণুজীব মানবদেহে নানা রকম রোগ সৃষ্টির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে থাকে। এসব রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো- কীভাবে রোগজীবাণুটি ছড়ায় সে সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখা। স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রতিরোধে করণীয় সমূহ নিম্নরূপ
১। হাতের নখ নিয়মিত কেটে ফেলতে হবে।
২। খাওয়ার আগে এবং মলত্যাগের পর সাবান বা ছাই দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।
৩। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পচা ও বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।
৪। খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং স্যানেটারি পায়খানা ব্যবহার করতে হবে। সুতরাং , উপরোক্ত করণীয়সমূহ পালনের মাধ্যমে আমরা অণুজীব সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রতিরোধে সক্ষম হতে পারব।
( ঘ ) নং প্রশ্নের উত্তরঃ
অণুজীব সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকাঃ
বিভিন্ন ধরনের অণুজীব মানবদেহে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে থাকে । এসকল অনুজীব সৃষ্ট স্বাথ্য ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতা সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে । ভাইরাস , ব্যাকটেরিয়া ও অ্যান্টামিবার মতো অণুজীবের কারণে মানব দেহে নানা রকমের রোগ সৃষ্টি হয় । এসব রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে । যেমন- ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্ত রোগীর মাধ্যমে সুস্থ দেহে এর জীবাণু ছড়িয়ে পরে । তাই ভাইরাসজনিত জীবাণু প্রতিরোধে সচেতনতা হিসেবে হাচি – কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করা যেতে পারে । যেখানে – সেখানে থু – থু ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে । নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহাওে উদ্বুদ্ধ হতে হবে । আবার , অ্যান্টামিবা অণুজীব দ্বারা আক্রান্ত হলে এমিবিক আমাশয় হয় । এক্ষেত্রে , মলত্যাগের পর ও খাওয়ার পূর্বে নিয়মিত হাত ধুয়ে নিতে হবে । নিয়মিত হাত ও পায়ের নখ কাটতে হবে । বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে এবং স্বাস্থ্যসম্মত পায়খান ব্যবহার করতে হবে । এরুপ সচেতনতা এ রোগ থেকে মুক্ত রাখতে ভূমিকা রাখবে।
পরিশেষে বলা যায় , অণুজীব সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতা তৈরি অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তাই এরুপ অণুজীব সৃষ্ট রোগ হতে বাঁচার উপায় হিসেবে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে ।
প্রতিবেদকের নাম : XYZ
রোল নং : ০১
প্রতিবেদনের ধরন : প্রাতিষ্ঠানিক
বিষয় : স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টিতে অজীবের প্রভাব এবং সচেতনতা সৃষ্টি ।
প্রতিবেদন তৈরির স্থান : ঢাকা
তারিখ : –/—/২০২২ ইং ।