SSC Exam 2023 Assignment 4th Week All Subject

1

SSC Exam 2023 Assignment 4th Week All Subject

SSC Assignment 2023 for SSC Examination 2023 4th week Assignment 2022 has been published. This assignment is published today. Bangla and ICT have been selected for this week. Students will create assignment solutions for two subjects and submit them to their respective schools.

Last Week Assignment: SSC Assignment 2023 3rd Week Assignment 2022

Institutional activities have been closed in Bangladesh for a long time. In this situation, assignment activities have been started to keep the students connected with education. Through this the Class Eight syllabus will be completed. Students are being given two assignments every week. Students are writing their answers and submitting them to their respective schools. Already 16 assignments have been published for SSC Assignment 2023 students. Assignments will continue to be published every week.

SSC Assignment 2023 4th week Assignment 2022

SSC Assignment 2023 4th week assignment 2022 has been published on 22 February 2022. This week's assignment activities will start on 22 February 2022. It will continue for a week. The 4th week assignment will be published at the end of the 4th week assignment.

Class 10 4th week Mathematics Assignment 2022

Class Nine 4th Week Mathematics Subject Assignment 2022
Class 10 4th week Mathmatics Assignment Answer 2022

Class 10 4th week Mathematics Assignment Answer 2022

Class Nine 4th Week  Mathematics Subject Assignment Answer 2022
Class 10 4th week Mathematics Assignment Answer 2022
Class 10 4th week Mathematics Assignment Answer 2022
Class 10 4th week Mathematics Assignment Answer 2022
Class 10 4th week Mathematics Assignment Answer 2022
Class 10 4th week Mathematics Assignment Answer 2022

Class 10 4th week Physics Assignment 2022

Class Nine 4th Week Physics Subject Assignment 2022
Class 10 4th week Physics Assignment 2022

Class 10 4th week Physics Assignment Answer 2022

Class Nine 4th Week Physics Subject Assignment 2022
উত্তর সমূহ
ধাপঃ ১
ভর ও শক্তির মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক নিম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ
নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় সাধারণত পদার্থ তথা ভর শক্তিতে রূপান্তর হয়। অবশ্য নিউক্রিয় বিক্রিয়া মোট ভরের কেবল একটি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ শক্তিতে রূপান্তর হয়। পদার্থ শক্তিতে রূপান্তর হলে যদি E পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায়,
তাহলে E=mc2

এখানে, m হচ্ছে শক্তিতে রূপান্তর ভর
 
এবং c হচ্ছে আলোর বেগ এবং c= 3×108 ms-1

পরীক্ষা করে দেখা গেলো একটি ফিশন বিক্রিয়ায় অর্থাৎ একটি নিম্ন শক্তির নিউট্রন যদি একটি ইউরেনিয়াম নিউক্রিয়াসকে (235U) আঘাত করে তাহলে প্রায়

200 MeV=200×106 eV


 
= 200×106×1.6×1019 J

= 3.2×10-11 J

শক্তি নির্গত হয়। যেহেতু ফিশন বিক্রিয়া একটি শৃঙ্খল বিক্রিয়অ, মুহুর্তের মধ্যে কোটি কোটি বিক্রিয়া সংঘটিত হয় এবং বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়।

ধাপঃ ২

নিউক্লিয়ার শক্তি যেভাবে বিদ্যুৎ শক্তিতে রুপান্তর হয় তা আমার মতো করে বিক্রিয়া ও চিত্রের সাহায্যে উপস্থাপন করা হলোঃ

ইউরেনিয়াম 235 এখানে 92টি প্রোটন এবং 143টি নিউন্রন রয়েছে। প্রকৃতিতে এর পরিমাণ খুব কম, মাত্র 0.7%, এর অর্ধায় 703,800,000 (704 মিলিয়ন প্রায়) বছর। এই ইউরেনিয়াম 235 নিউক্লিয়াস খুব সহজেই আরেকটা নিউট্রনকে গ্রহণ করতে পারে তখন ইউরেনিয়াম 235 পুরোপুরি অস্থিতিশীল হয়ে যায়, এটা তখন Kr92 এবং Ba141 এই
দুটো ছোট নিউক্লিয়াসে ভাগ হয়ে যায়। তার সাথে সাথে আরো তিনটা নিউট্রন বের হয়ে আসে । যা নিম্নের সমীকরণে দেখানো হয়েছে।n01+U92235→Kr3692+Ba56141+3n01

সমীকরণের বাম পাশের মৌলের ভর বের করে এবং সেটাকে ডান পাশের মৌলের ভরের সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে ডান পাশে ভর কম, যেটুকু ভর কম সেটুকু আসলে E=mc2 এর শক্তি হিসেবে বের হয়ে এসেছে।
নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া

এই বিক্রিয়ায় যে তিনটি নিউট্রন বের হয়ে এসেছে, তারা আসলে প্রচণ্ড গতিতে বের হয়ে আসে, তাই খুব সহজে অন্য ইউরেনিয়াম (235U) সেগুলো ধরে রাখতে পারে না। কোনোভাবে যদি এগুলোর গতিশক্তি কমানো যায় তাহলে সেগুলো অন্য ইউরেনিয়াম (235U) নিউক্রিয়াসে আটকা পড়ে সেটাকেও ভেঙে দিয়ে আরো কিছু শক্তি এবং আরো তিনটি নতুন নিউট্রন বের করবে । নিউ্রনগুলোর গতি কমে আসার পর সেগুলো আবার অন্য নিউক্রিয়াসকে ভেঙে দেয় এবং এভাবে চলতেই থাকে । এই প্রক্রিযাকে বলে চেইন রি-আাকশন।
BWR
ছবিটা টেকটিউন সাইট থেকে নেওয়া
এই পদ্ধতিতে প্রচণ্ড তাপশক্তি বের হয়ে আসে, সেই তাপশক্তি ব্যবহার করে পানিকে বাম্পীভূত করে সেই বাষ্প দিয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়। এরকম একটা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে খুব সহজেই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়।

ধাপঃ ৩
 
নিউক্লিয়ার শক্তির পরিবেশগত প্রভাব নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
অনিয়ন্ত্রিত নিউক্লিয়ার শক্তি পরিবেশের উপর মারাত্মক বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। একটি পারমাণবিক শক্তির চুল্লি স্থাপনের পূর্বে সে অঞ্চলের পরিবেশ, ভু-কম্পন প্রবনতা, হাইড্রোলজি, আবহাওয়াবিদ্যা, জনসংখ্যা এবং শিল্প-পরিবহন ও সামরিক স্থাপনা সমূহ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হয়। এছাড়া অগ্নিকান্ড, বিস্ফোরণ, বিকিরণ, ও দুঘটনার কারণে মহাবিপযয় ঘটতে পারে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণে আন্তর্জাতিক মানের নিউক্লিয়ার বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন । পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লির দুর্ঘটনার ফলে ক্যান্সার জনিত রোগের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করে ।

যেসব স্থানে এ ধরনের দুঘটনা ঘটে সেসব স্থানে জন্ম নেয়া সকল শিশুই হয়। পারমাণবিক চুল্লিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার পর সৃষ্টি হয় তেজক্তিয় বর্জ্য যা জীবজগত ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক বিপদজনক । এসব বর্জ্য কমপক্ষে ১০,০০০ বছর বিশেষভাবে সংরক্ষণ করতে হয় যেন তেজক্ক্রিয়তা ছড়াতে না পারে। যতই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক না কেন তারপরও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও কারিগরি ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কমবেশি থেকে যায়।

Class 10 4th week Accounting Assignment 2022

Class Nine 4th Week Accounting Subject Assignment 2022
Class 10 4th week Accounting Assignment 2022

Class 10 4th week Accounting Assignment Answer 2022

Class Nine 4th Week Accounting Subject Assignment 2022
উত্তর সমূহ
ক) নং প্রশ্নের উত্তর
জাবেদার ধারণাঃ লেনদেন সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথে আমাদেরকে যতটুকু সম্ভব লেনদেনের বিশদ বিবরণ লিপিবদ্ধ করতে হয়। লেনদেনের এই বিবরণ প্রাথমিকভাবে প্রথম জাবেদায়। লিপিবদ্ধ করা হয়। লেনদেনের ডেবিট ও ক্রেডিট পক্ষ বিশ্লেষণ করে তারিখের ক্রমানুসারে ব্যাখ্যা সহকারে জাবেদাতে লিখে রাখা হয়।
পরবর্তী সময়ে হিসাবের পাকা বই খতিয়ান প্রস্তুতের ক্ষেত্রে জাবেদা সহায়ক বই হিসেবে কাজ করে। যার কারণেই জাবেদাকে হিসাবের। প্রাথমিক বই বলা হয়। জাবেদা বই সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক নয় কিন্তু হিসাব তৈরির সুবিধার্থে জাবেদা প্রয়জন। জাবেদায় লিপিবদ্ধ । থাকার কারণে হিসাবে লেনদেন বাদ পড়ার সম্ভাবনা বহুলাংশে হ্রাস পায়।
খ) নং প্রশ্নের উত্তর জাবেদার গুরুত্বঃ প্রতিষ্ঠানের হিসাবের বই নির্ভুল ও স্বচ্ছ হওয়া অত্যাবশ্যক। এই হিসাবে ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ফলাফল ও সার্বিক আর্থিক অবস্থা নিরূপণ করা হয়। হিসাববিজ্ঞানের মুখ্য এই উদ্দেশ্য অর্জনে জাবেদা কীভাবে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, তা সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো
লেনদেন লিপিবদ্ধকরণঃ প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য লেনদেন সংঘঠিত হয়। এই লেনদেন সংঘঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খতিয়ানে লিপিবদ্ধ করা সম্ভব না-ও হতে পারে। জাবেদায় লেনদেন লিপিবদ্ধ থাকলে পরবর্তীতে খতিয়ানে অন্তর্ভুক্তকরণে কোনো অসুবিধা হয় না।
লেনদেনের মোট সংখ্যা ও পরিমাণ জানা: খতিয়ান হতে নির্দিষ্ট দিনে, সপ্তাহে বা মাসে কয়টি লেনদেন সংঘঠিত হয়েছে তা জানা সন্ধব নয়। জাবেদায় লেনদেন তারিখের ক্রমানুসারে লিখা হয় বলে নির্দিষ্ট তারিখে, সপ্তাহে বা মাসে মোট কয়টি লেনদেন ঘটেছে তা সহজেই জানা যায়। মোট কত টাকার লেনদেন বিভিন্ন সময়ে হয়েছে, তা-ও জাবেদা থেকে জানা সম্ভব।
দ্বৈত সত্তার প্রয়োগ নিশ্চিতঃ দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুযায়ী লেনদেন সংশ্লিষ্ট ডেবিট ও ক্রেডিট পক্ষ একত্রে জাবেদায় লিখা হয়। ফলে জাবেদা হতে দ্বৈত সত্তার প্রয়োগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
লেনদেনের সঠিক ব্যাখ্যা: লেনদেন সম্পর্কিত কোন সন্দেহ বা প্রশ্ন দেখা দিলে জাবেদা হতে তার ব্যাখ্যা পাওয়া সম্ভব। কারণ জাবেদা বইতে লেনদেন লিপিবদ্ধের পাশাপাশি লেনদেন সংঘটিত হওয়ার কারণ ও ব্যাখ্যা উলেখ করা হয়।
ভুল-ত্রুটি হ্রাস: লেনদেন খতিয়ানে অন্তর্ভুক্তির পূর্বে জাবেদায় লিখা হলে হিসাবে ভুল ত্রুটি ও খতিয়ানে বাদ পড়ার সম্ভবনা হ্রাস পায়। ভবিষ্যৎ সুত্র/রেফারেন্স: জাবেদায় লেনদেনসমূহকে তারিখের ক্রমানুসারে সুশৃঙ্খলভাবে সাজিয়ে লিখে রাখা হয়। ভবিষ্যৎ যেকোনো প্রয়োজনে জাবেদা দলিল প্রমাণস্বরূপ ব্যবহার করা যায়। পাকা বহির সহায়ক জাবেদা খতিয়ানের সহায়ক বইরূপ কাজ করে বিধায়, খতিয়ান প্রস্তুত সহজ, পরিচ্ছন্ন ও নির্ভুল হয়।
Class 10 4th week Accounting Assignment Answer 2022

Class 10 4th week Accounting Assignment Answer 2022
Class 10 4th week Accounting Assignment Answer 2022

Class 10 4th week History Assignment 2022

Class Nine 4th Week History Subject Assignment 2022
Class 10 4th week History Assignment 2022

Class 10 4th week History Assignment Answer 2022

Class Nine 4th Week History Subject Assignment 2022
উত্তর সমূহ
১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের কারণঃ
পলাশি যুদ্ধের একশ’ বছর পর ভারতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে প্রধানত সিপাহিদের নেতৃত্বে যে সশস্ত্র বিদ্রোহ সংঘটিত হয় , তাকেই ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলা হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক। শোষণ , সামাজিকভাবে হেয় করা , ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা।
সর্বোপরি ভারতীয় সৈনিকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ- এসবই এই সংগ্রামের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। নিম্নে প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের কারণসমূহ উল্লেখ করা হলো।
রাজনৈতিক: পলাশি যুদ্ধের পর থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজ্য বিস্তার, একের পর এক দেশীয় রাজ্যগুলো দখল, দেশীয় রাজন্যবর্গের মধ্যে ভীতি , অসন্তোষ ও তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়। লর্ড ডালহৌসি।
স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে সাতারা, ঝাঁসি, নাগপুর, সম্বলপুর, ভগৎ, উদয়পুর, করাউলি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। স্বত্ববিলোপ নীতি অনুযায়ী দত্তক পুত্র সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতে পারত না। তাছাড়া অপশাসনের অজুহাতে অযোধ্যা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করা হয়। এসব ঘটনায় দেশীয় রাজন্যবর্গ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন।
অর্থনৈতিক: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু। হয় চরম অর্থনৈতিক শোষণ বঞ্চনা। কোম্পানি রাজনৈতিক ক্ষমতা। দখলের আগেই এদেশের শিল্প ধ্বংস করেছিল। ক্ষমতা দখলের পর ভূমি রাজস্ব নীতির নামে ধ্বংস করা হয় দরিদ্র কৃষকের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড আইন প্রয়োগের ফলে অনেক বনেদি জমিদার সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। দরিদ্র কৃষকের ওপর অতিরিক্ত কর ধার্য করা হয়। জমিদার ও রাজস্ব আদায়কারীদের তীব্র শোষণের শিকার এসব কৃষক মহাজনদের কাছে।
ঋণগ্রস্ত হয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। একদিকে বাজার দখলের নামে স্থানীয় শিল্প ধ্বংস, অপর দিকে অতিরিক্ত অর্থ লাভের আশায় জমি বন্দোবস্তের নামে কৃষি ধ্বংস হয়। ফলে বাংলার অর্থনৈতিক কাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। এঅবস্থার শিকার সাধারণ মানুষ কোম্পানি শাসন – শোষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।
সামাজিক ও ধর্মীয়: উপমহাদেশের জনগণের ক্ষোভের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল সামাজিক ও ধর্মীয়। আঠারো শতকের শেষ ভাগে এবং উনিশ শতকের প্রথমার্ধে পাশ্চাত্যের প্রভাব, কোম্পানির সমাজ সংস্কার জনকল্যাণমূলক হলেও গোটা রক্ষণশীল হিন্দু-মুসলমান এসব মেনে নিতে পারেনি। ইংরেজি শিক্ষা, সতীদাহ প্রথা উচ্ছেদ, হিন্দু বিধবাদের পুনরায় বিবাহ, খ্রিষ্টান ধর্মযাজকদের ধর্ম প্রচার ইত্যাদির ফলে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের গোঁড়াপন্থীরা শঙ্কিত হয়ে ওঠে। ধর্ম ও সামাজিক রীতিনীতি বিভিন্নভাবে সংস্কারের কারণে ক্ষুব্ধ হয় উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ।
সামরিক : সামরিক বাহিনীতে ইংরেজ ও ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যকার বৈষম্য বিদ্রোহের অন্যতম কারণ। ইংরেজ মেন্য ও ভারতীয় সিপাহিদের মধ্যে পদবি এবং বেতন – ভাতার মধ্যে বিরাট বৈষম্য ছিল। ভারতীয়দের সুযোগ – সুবিধাও কম ছিল। তাছাড়া পদোন্নতির সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চিত ছিল। তার ওপর ব্রিটিশ অফিসারদের পক্ষপাতিত্ব।
গুদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ সিপাহিদের মধ্যে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তাছাড়া হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের সিপাহিদের ব্যবহারের জন্য, এনফিল্ড ‘ রাইফেলের প্রচলন করা হয়। এই রাইফেলের টোটা দাঁত দিয়ে কেটে বন্দুকে প্রবেশ করাতে হতো। সৈন্যদের মধ্যে ব্যাপকভাবে এ গুজব ছড়িয়ে পড়ল যে, এই টোটায় গরু ও শুকরের চর্বি মিশ্রিত আছে। ফলে উভয়ই ধর্মনাশের কথা ভেবে বিদ্রোহী হয়ে উঠল।
১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বঃ
এই বিদ্রোহের তাৎক্ষণিক গুরুত্বও ছিল। এর ফলে কোম্পানি শাসনের অবসান হয়। ব্রিটিশ সরকার ভারতের শাসনভার নিজ হাতে গ্রহণ করে। ১৮৫৮ সালের ১ লা নভেম্বর মহারানি ভিক্টোরিয়ার এক ঘোষণাপত্রে স্বত্ববিলোপ নীতি এবং এর সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য নিয়ম বাতিল করা হয়। তাছাড়া এই ঘোষণাপত্রে।
১ যোগ্যতা অনুযায়ী ভারতীয়দের চাকরি প্রদান এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তাসহ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে রেঙ্গুনে নির্বাসিত করা হয়।
এই বিদ্রোহের সুদূরপ্রসারী গুরুত্ব হচ্ছে এই বিদ্রোহের ক্ষোভ থেমে যায়নি। এই সংগ্রামের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ সচেতন হয়ে ওঠে এবং আন্দোলন – সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৪৭ সালে ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটায়।
বঙ্গভঙ্গের কারণ: বঙ্গভঙ্গের পেছনে বেশ কিছু কারণ ছিল, যা নিচে উল্লেখ করা হলো প্রশাসনিক কারণ: লর্ড কার্জনের শাসনামলে বঙ্গভঙ্গ ছিল একটি প্রশাসনিক সংস্কার। উপমহাদেশের এক তৃতীয়াংশ লোকের বসবাস ছিল বাংলা প্রেসিডেন্সিতে।
কোলকাতা থেকে পূর্বাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শাসনকার্য সুষুঠভাবে পরিচালনা করা ছিল কঠিন কাজ। যে কারণে লর্ড কার্জন এত বড় অঞ্চলকে একটি প্রশাসনিক ইউনিটে রাখা। যুক্তিসংগত মনে করেননি। তাই ১৯০৩ সালে বাংলা প্রদেশকে ভাগ করার। পরিকল্পনা করেন এবং ১৯০৫ সালে তা কার্যকর হয়।
আর্থ-সামাজিক কারণঃ বাংলা ভাগের পেছনে আরো কারণ ছিল যার একটি অর্থনৈতিক, অপরটি সামাজিক তখন কোলকাতা হয়ে উঠেছিল। আর্থ – সামাজিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। শিল্প কারখানা, ব্যবসা – বাণিজ্য, অফিস – আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবকিছুই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কোলকাতাকে ঘিরে। যা কিছু উন্নতি অগ্রগতি, সবই ছিল কোলকাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ। ফলে, পূর্ব বাংলার উন্নতি ব্যাহত হয়। অথচ এখান থেকে যে কাঁচামাল সরবরাহ করা হতো তার জন্যও সুষুঠ যোগাযোগব্যবস্থা ছিল না।
ফলে পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমে খারাপ হতে থাকে। উপযুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাবে শিক্ষা, উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে না। পারায় এ অঞ্চলের লোকজন অশিক্ষিত থেকে যায়। কর্মহীনের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যেতে থাকে। এ অবস্থার কথা বিবেচনা করে বঙ্গভঙ্গের প্রয়োজন ছিল।
রাজনৈতিক কারণ: লর্ড কার্জন শুধু শাসন – সুবিধার জন্য বা পূর্ব । বাংলার জনগণের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে বঙ্গভঙ্গ করেননি। এর পেছনে ব্রিটিশ প্রশাসনের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক স্বার্থও জড়িত ছিল। লর্ড কার্জন বাংলার রাজনৈতিক সচেতনতা সম্পর্কে সতর্ক ছিলেন। বাঙালি মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী শ্রেণি ক্রমশ জাতীয়তাবাদ ও রাজনীতি। সচেতন হয়ে উঠেছিল। বিষয়টি তাঁর দৃষ্টি এড়ায়নি। কংগ্রেস নেতারা কোলকাতা থেকেই সারা ভারতের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতেন।
সুতরাং কোলকাতাকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া ছিল এর মূল উদ্দেশ্য। হিন্দু ও মুসলমান সম্মিলিত শক্তি, ঐক্যবদ্ধ বাংলা ছিল ব্রিটিশ প্রশাসনের জন্য বিপজ্জনক। ফলে বাংলা ভাগ করে একদিকে বাঙালির শক্তিকে দুর্বল করা হলো, অপরদিকে পূর্ব বাংলার উন্নয়নের নামে। মুসলমান সম্প্রদায়কে খুশি করা হলো। এভাবেই কার্জন’ বিভেদ ও শামন’ নীতি প্রয়োগ করে যতটা না পূর্ব বাংলার কল্যাণে,
তার চেয়ে বেশি ব্রিটিশ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বাংলা ভাগ করেন। এভাবে কৌশলে ভারতীয় জাতীয় ঐক্যকে দুর্বল করার ব্যবস্থা করা হলো।
বঙ্গভঙ্গের প্রতিক্রিয়া: বঙ্গভঙ্গ ঘোষণার ফলে বাংলার মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পূর্ব বাংলার মুসলমানরা নবাব সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে বঙ্গভঙ্গকে স্বাগত জানায়। মুসলিম পত্র – পত্রিকাগুলোও বঙ্গ বিভাগে সন্তোষ প্রকাশ করে। নতুন প্রদেশের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ছিল মুসলমান। সুতরাং পূর্ব বাংলার পিছিয়ে পড়া মুসলমান। সম্প্রদায় শিক্ষা – দীক্ষা এবং প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ – সুবিধা পাবে এ আশায় তারা বঙ্গভঙ্গের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন প্রদান করে।
অপরদিকে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে তারা বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলে। এর পেছনের কারণ সম্পর্কে কোনো কোনো ঐতিহাসিক বলেছেন উঁচুতলার মানুষ অর্থাৎ পুঁজিপতি, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত, জমিদার, আইনজীবী, সংবাদপত্রের মালিক, রাজনীতিবিদদের স্বার্থে আঘাত লাগার কারণে এরা বঙ্গভঙ্গের ঘোর বিরোধিতা শুরু করে। তবে ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষার কারণে। হোক বা জাতীয় ঐক্যের মহৎ আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে হোক ,
বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলন অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। এই আন্দোলনে সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, বিপিনচন্দ্র পাল, অরবিন্দ ঘোষ, অশ্বিনীকুমার দত্ত, বালগঙ্গাধর তিলকসহ গোখলের মতো উদারপন্থী নেতাও অংশ নেয়। সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি বঙ্গভঙ্গকে জাতীয় দুর্যোগ বলে আখ্যায়িত করেন। বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলন ক্রমে স্বদেশী। আন্দোলনে রূপ নেয়। চরমপন্থী নেতাদের কারণে এই আন্দোলনের সঙ্গে সশস্ত্র কার্যকলাপও যুক্ত হয়। ব্রিটিশ সরকার আন্দোলনকারীদের দমন করতে না পেরে
শেষ পর্যন্ত ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রহিত করে। রাজা পঞ্চম জর্জ ভারত। সফরে এসে ১৯১১ সালে দিল্লির দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন। বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে হিন্দু সম্প্রদায় খুশি হয়, আর কংগ্রেস মনে করে এটি। তাদের নীতির জয়। কিন্তু মুসলমান সম্প্রদায় বঙ্গভঙ্গ রদে প্রচণ্ড মর্মাহত হয়। ব্রিটিশ সরকার ও কংগ্রেসের প্রতি তাদের আস্থা নষ্ট হয়ে। যায়। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করে কংগ্রেস মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়। মুসলিম নেতৃবৃন্দ একে ব্রিটিশ সরকারের বিশ্বাসঘাতকতার জঘন্য উদাহরণ বলে মন্তব্য করেন।
বঙ্গভঙ্গের পর থেকে হিন্দু-মুসলমানের সম্পর্কে ফাটল ধরে। এরপর থেকেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূত্রপাত। ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ গঠিত হলে হিন্দু-মুসলমানের রাজনৈতিক পথ আলাদা হয়ে যায়।
মুসলমানদের জন্য ক্রমশ স্বতন্ত্র জাতি – চিন্তা তীব্র হতে থাকে।

SSC Assignment 2023 Assignment 4th week Answer

SSC Assignment 2023 Assignment 4th Answer will be created by the students themselves. If necessary, they can be taken the help from teachers, guardians or anyone else. Necessary information can also be collected from the internet.

Before writing the Assignments Answers on Bangla and Information and Communications Technology ICT subjects, students must read and practice the chapter allotted for the assignment.

SSC Assignment 2023 Bangla Assignment 4th week Answer

Post a Comment

1 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. In the Bangladesh Education System, Barisal board has a good record and the Barisal Division also successfully completed JSC and JDC JSC Result 2022 Barisal Board terminal examination tests 2022 as per schedules along with all other educational boards of the country, and there are a huge number of general and mass education students have appeared to the Grade 8 final exams from the division.

    ReplyDelete
Post a Comment

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top