HSC 11th Week Geography Assignment Answer 2022

0

11th week HSC Geography assignment Answer 2022HSC Geography assignment answer 2022 is available on our website. If you are a 2022 HSC examinee and looking for Mathematic assignment answers then you come to the right place. you will find the Geography assignment solution PDF. Let’s know in more detail.

HSC Geography Assignment Answer 2022

DSHE has published HSC 2022 Geography assignment questions for students. Students should be solved the HSC Geography Assignment of the HSC 2022 exam. we will help to solve all the Mathematic Assignment questions for HSC students.

HSC 2022 Geography Subject Assignment Question

HSC Geography 11th Week Assignment 2022

HSC Geography Assignment Answer 2022 11th Week

Geography is a Group subject for HSC candidates. HSC Geography assignment and answer will be given below.

ক) ভূ-প্রকৃতির প্রধান ভাগের বিভাজন

HSC 11th Week Geography Assignment Answer 2022

(১) টারশিয়ারী যুগের পাহাড়ী ভূমি

সিলেটের উত্তর ও পূর্বাংশ এবং চট্টগ্রাম ও পাবর্ত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চল সমূহ নিয়ে এ এলাকা গঠিত। জামালপুরের উত্তর সীমান্ত শিলং মালভূমির পাদদেশে সুষাং টিলা সমূহ অবস্থিত। টিলাগুলোর সর্বাধিক উচ্চতা ৯২ মিটার; পক্ষান্তরে মাঝখানের উপত্যকাগুলি ও সমুদ্র সমতল থেকে ৩১ মিটার উচুঁতে। সিলেটের পাহাড় সমূহ চারটি মালায় বিভক্ত। খাসিয়া ও জৈন্তা পাহাড় সিলেটের উত্তর সীমান্ত বরাবর, সুনামগঞ্জে পাহাড়গুলো পরস্পর বিচ্ছিন্ন। ভোলাগঞ্জের নিকট পাহাড়ের সর্বোচ্চ উচ্চতা ৫২ মিটার। হারারগজ পাহাড় ৩৩৭ মিটার উচুঁ যা সিলেটের দক্ষিণ ভাগে অবস্থিত।

দক্ষিণ পূর্ব বাংলাদেশের পাহাড় সমূহকে মাঝখানে বিশাল উপত্যকা দিয়ে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ পশ্চিম ভাগের পাহাড়ী এলাকা ও পূর্বভাগের পাহাড়ী অঞ্চল। পাহাড় সমূহ উত্তর পশ্চিম ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে ছড়িয়ে আছে। পশ্চিমভাগের পাহাড় সমূহ সিতাকুন্ড ও মারা টং এর সমন্বয়ে গঠিত।

সিতাকুন্ড পাহাড়ের সর্বোচ্চ উচ্চতা ৩৫২ মিটার মারা টং এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ১১৩মিটার। পাহাড় সমূহের উচ্চতা উত্তরদিকে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় নদীনালা সমূহ এ সব পাহাড় দ্বারা প্রভাবিত। সীতাকুণ্ড হতে পাহাড় প্রায় সমুদ্র উপকূলের সন্নিকটে এবং সমান্তরালে সম্প্রসারিত হয়ে টেকনাফে গিয়ে সর্বশেষে সমভূমিতে মিশেছে।

পূর্বভাগের পাহাড়সমূহ ঢেউ খেলানো ও খাড়াঢাল সমৃদ্ধ; পাহাড়ের গড় উচ্চতা ৩০০ মিটার। এ এলাকার পাহাড়ী নদীগুলো অস্থায়ী প্রকৃতির উচ্চ ঢাল বিশিষ্ট; ফলে বৃষ্টিপাতের সাথে সাথেই নিম্ন ঢালে নদী প্রবাহ নামতে শুরু করে এবং তা দ্রুত বন্যার কারণ ঘটায়। এখানকার কিছু নদী স্বল্প দৈর্ঘ্যরে এবং এ সব নদীর মাধ্যমে প্রতি বৎসর নদী তলদেশে এবং নিম্ন অববাহিকায় ব্যাপক পলি সঞ্চয়ন ঘটে থাকে। দক্ষিণ পূর্বের প্রধান নদী কর্ণফুলী ও সাঙ্গু।

(২) প্লায়স্টোসিন যুগের সোপান

দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের বরেন্দ্রভূমি এবং মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় অঞ্চল প্লায়স্টোসিন যুগের সোপান সমূহের অন্তর্গত। বরেন্দ্র অঞ্চল সোপান সমূহের গড় উচ্চতা ১৯ থেকে মিটারের মধ্যে অসংখ্য নদীনালা দ্বারা এ সোপান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত। উচ্চভূমি, লালচে অথবা হলুদাকার কর্দম

যা স্থানীয় ভাবে খৈয়ার নামে পরিচিত। বহু শাখা প্রশাখা সহ অন্ত প্রবাহী নদী এ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য। বরেন্দ্র ভূমিকে ৫টি ক্ষুদ্রাঞ্চলে বিভক্ত করা যায়। উত্তর পূর্বাংশের তিনটি আলাদা অংশ তিস্তা নদীর প্লাবনভূমি দ্বারা সীমাবদ্ধ। কিছু ভূ-চ্যুতি দ্বারা এ অংশটি মূলভূমি হতে বিচ্ছিন্ন এবং গাঢ় লালচে মৃত্তিকায় সমৃদ্ধ; যা লেটেরাইটিক মৃত্তিকা নামে পরিচিত।

পুরো অঞ্চলটি প্রায় ১৯৩০.৯০ বর্গ কিলোমিটার ব্যাপী বিস্তৃত। পূর্ব মধ্যভাগের বরেন্দ্রভূমি গড়ে মাত্র ১২ কি. মি. প্রশস্ত। মধ্য পশ্চিম বরেন্দ্র ১৪৫ কি. মি. দীর্ঘ এবং ১৬ থেকে ৩৭ কি. মি. প্রশস্ত। মোট আয়তন ১৭৭০ বর্গ কিলোমিটার। অখন্ড ভাবে এটি দিনাজপুর থেকে পদ্মা নদী পর্যন্ত বিস্তৃত।

মধ্যভাগে ভূমির বন্ধুরতা অধিক। বরেন্দ্রভূমিতে অসংখ্য নিম্নভূমি খাড়ি নামে পরিচিত। পশ্চিম বরেন্দ্রভূমি চারটি আলাদা আলাদা অংশ নিয়ে গঠিত যাদের মোট আয়তন মাত্র ৮১ ব. কি. মি.। মধুপুর সোপান প্রায় ২৫৫৮ কি.মি. বিস্তৃত এবং ক্রমান্বয়ে দক্ষিণ পূর্বদিকে ঢালু। উত্তরাংশ উচ্চ টিলার মত চালা নিয়ে গঠিত, যাদের গড় উচ্চতা ৯ থেকে ১৪ মিটার, ডোম আকৃতির এবং অপ্রশস্ত নালা নিয়ে গঠিত, যা বাঁইদ নামে পরিচিত। বাঁইদ গুলো কৃষিকাজে মূলত ঋতুভিত্তিক ধান চাষে ব্যবহৃত হয়। বাঁইদ গুলো অগভীর ও ডিম্বাকৃতির তলদেশ সম্পন্ন। পশ্চিমভাগ খন্ডিত চালাসমূহ ক্ষুদ্রাকৃতির। নদীগুলো শাখা প্রশাখা যুক্ত। দক্ষিণাঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি অন্যান্য স্থানের চেয়ে আলাদা। বাঁইদ গুলো প্রায়ই সমতল। পূর্বদিকে অনেক গুলো জলাবদ্ধ বাঁইদ দেখা যায়। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র ও শীতলক্ষা নদী দ্বারা মূল মধুপুর সোপান থেকে পূর্বঞ্চলের সোপান অংশ বিচ্ছিন্ন।

(৩) সাম্প্রতিক কালের প্লাবনভূমি

তিস্তা-পলল পাখা হিমায়লয় পর্বত মালার পাদদেশে নদী বিধোত হয়ে তেঁতুলিয়া দিনাজপুর অঞ্চলে সঞ্চিত পলল সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৯৭-৩৪ মিটার পর্যন্ত উচুঁ। এ অঞ্চলের ঢাল প্রতি কিলোমিটার ০.৯১ মিটার। পুরো অঞ্চলটি ঢেউ খেলানো উচুঁ নিচু। তিস্তা পলল পাখা পূর্বে তিস্তার পশ্চিমে মহানন্দা নদী হতে বগুড়ার শেরপুর পর্যন্ত তিস্তার পুরানো গতিপথ ধরে ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। উচুঁ পাড় সমৃদ্ধ নীচু জলাভূমি এসব স্থানের বৈশিষ্ট্য, যা বন্যায় প্লাবিত হয়। উত্তরের দিকে ভূমির উপরি ভাগে পলি , দক্ষিণে নদী পাড় সমূহ বালুকাময় দাঁড়া গঠন করে। প্রধান প্রধান নদী সমূহের মধ্যে কুলিক, তিস্তা, ধরলা এবং দুধকুমার উলে−খযোগ্য। দক্ষিণে, বরেন্দ্রভূমির প্লায়স্টোসিন কর্দম এর উপরও এ পলল সঞ্চিত হয়েছে।

খ) ভূমিরূপ এর অবস্থান ও আয়তন

পর্বত

ভূপৃষ্ঠের অতি উচ্চ, সুবিস্তৃত এবং খাড়া ঢাল বিশিষ্ট শিলাস্তূপকে পর্বত বলে। পর্বত সাধারণত ৬০০ মিটারের অধিক উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। তবে পর্বতের উচ্চতা সমুদ্র সমতল থেকে কয়েক হাজার মিটার উচ্চ হতে পারে। কোন কোন পর্বত বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করে যেমন, পূর্ব আফ্রিকার কিলিমানজারো (কি.মি)। কিছু পর্বত কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থান করে। এ ধরণের পর্বত সাধারণত ঢেউ এর ন্যায় ভাঁজ বিশিষ্ট হয়ে থাকে। যেমন: হিমালয় পর্বত। এ পর্বত পশ্চিমে পামীর মালভূমি থেকে শুরু করে পূর্বে প্রায় পাপুয়া নিউগিনি পর্যন্ত বিস্তৃত।

এছাড়াও উত্তর আমেরিকার রকি ও অ্যাপালে সিয়ানে, দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ, ইউরোপের আল্পস, ইউরাল ও ককেশাস ইত্যাদি এশিয়া মহাদেশের উল্লেখযোগ্য বৃহৎ আকৃতির পর্বত। পর্বত গঠনে বিভিন্ন প্রক্রিয়া একসঙ্গে কাজ করে। একে ওরোজেনেসিস বলে। গ্রীক শব্দ ‘আরোস’ অর্থ ‘পর্বত’ এবং জেনেসিস অর্থ ‘সৃষ্টি’ হওয়া। এই দুইটি শব্দের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়েছে ‘অরোজেনেসিস’ শব্দটি, যা বাংলায় পর্বত গঠন প্রক্রিয়া বলা হয়ে থাকে। ভূ-অভ্যন্তরে বিপুল শক্তির প্রয়োগ হওয়ার ফলে পর্বতের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অবয়বের সৃষ্টি হয়। যেমন, অধিক উচ্চতা, বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভাঁজ ও চ্যুতি ইত্যাদি। অন্যদিকে বিভিন্ন ধরণের ক্ষয়কাজের ফলে বায়ু, পানি ও অন্যান্য প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পৃথিবীর প্রতিটি পর্বত দেখতে বাহ্যিকভাবে স্বতন্ত্র হলেও উৎপত্তি গত ও গঠন প্রকৃতিগত দিক দিয়ে এদের বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়

মালভূমি

সাধারণত যে বিস্তীর্ণ ভূ-ভাগ সমুদ্র সমতল থেকে বেশ উঁচু প্রায় ৩০০ মিটার,অথচ যার পৃষ্ঠদেশ বা উপরিভাগ খুব অসমতল নয় এবং চারপাশ খাড়া ঢালযুক্ত থাকে তাকে মালভূমি [Plateau] বলা হয় । সমুদ্র সমতল হতে অপেক্ষাকৃত উচ্চে অবস্থিত খাড়া ঢালযুক্ত অসমতল এবং প্রশস্ত ভূমিভাগকে মালভূমি বলে। তিব্বতের পামির মালভূমি একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। মালভূমির উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে কয়েকশ মিটার থেকে কয়েক হাজার মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ভূ-অভ্যন্তরস্থ ও ভূ-পৃষ্ঠস্থ বিভিন্ন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার কারণে মালভূমি সৃষ্টি হতে পারে।

সমভূমি

সমুদ্রপৃষ্ঠের একই সমতলে বা সামান্য উঁচুতে (৩০০ মিটারের মধ্যে) অবস্থিত সমতল স্থলভাগকে সমভূমি [Plain] বলে। সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় সম উচ্চতায় সুবিস্তৃত স্থলভাগকে সমভূমি বলা হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েকশ মিটার উঁচুতেও সমভূমি গঠিত হতে পারে। সমভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কয়েকশত ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় অবস্থিত হতে পারে। সমভূমিতে মৃদু ঢাল বিশিষ্ট ভূমি, ছোট ছোট টিলা, পাহাড় এবং নদী উপত্যকার উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। পৃথিবীর মোট স্থলভাগের প্রায় অর্ধেক সমভূমি। মানুষের আবাস এবং অর্থনৈতিক কামকান্ড সমভূমিতে সংঘটিত হয়। সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশে সমভূমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি আফ্রিকা মহাদেশে সমভূমির পরিমাণ সবচেয়ে কম। ইউরেশিয়ার উত্তরাংশ জুড়ে পৃথিবীর বৃহত্তম সমভূমি অবস্থিত। ভূ-তাত্তি¡ক গঠনের দিক দিয়ে সমভূমিগুলো যথেষ্ট বৈচিত্র্যপূর্ণ।

গ) ভূমিরূপ এর অন্যান্য বৈশিষ্ট্য

পর্বতের বৈশিষ্ট্য

পর্বত সাধারণত ৯০০ মিটারের বেশি উচ্চ হয়।

এটি অনেক দূর বিস্তৃত খাড়া ঢাল যুক্ত হয়ে থাকে।

পর্বতের উপরিভাগের সরু সূচালো খাড়া ঢাল যুক্ত অংশটিকে পর্বত শৃঙ্গ বা চুঁড় বলা হয়।যেমন মাউন্ট এভারেস্ট।

দুটি পর্বত চুঁড়ার মাঝে নিচু খার জাতীয় অংশকে পর্বত উপত্যকা বলে।

অনেকগুলো পর্বত শৃঙ্গ ও উপত্যকা বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করলে তাকে পর্বত শ্রেণী বলে।

অনেক গুলি পর্বতশ্রেণী বিভিন্ন দিক থেকে এসে এক জায়গায় মিশিলে তাকে পর্বত গ্রন্থি বলে। যেমন পামির গ্রন্থি।

মালভূমির বৈশিষ্ট্য

ক) মালভূমি এক বিস্তীর্ণ উচ্চভূমি,

খ) এর উপরিভাগ প্রায় সমতল বা কিছুটা তরঙ্গায়িত,

গ) চারদিকে ঢাল বেশ বেশি,

ঘ) দেখতে অনেকটা টেবিলের মতো বলে, যার আর এক নাম টেবিল ল্যান্ড [Table Land] এবং

ঙ) উচ্চতা ৩০০ মিটারের বেশি।

চ) মালভূমির উচ্চতা কয়েক হাজার মিটার হতে পারে যেমন তিব্বতের মালভূমি প্রায় ৪৫০০ মিটার উঁচু । পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু মালভূমি হল পামীর মালভূমি । এর উচ্চতা ৪৮৭৩ মিটার । অত্যাধিক উচ্চতার জন্য একে পৃথিবীর ছাদ বলা হয় । ভারতের মধ্যে কাশ্মীরের লাডাক মালভূমি সবচেয়ে উঁচু এবং এর উচ্চতা ৩৫০০ মিটার ।

ছ) মালভূমির উপর পাহাড় বা পর্বত থাতে পারে ।

সমভূমির বৈশিষ্ট্য

১) সমভূমির [Plain] উপরিভাগ সাধারণত সমতল হয়;

২) সমভূমি [Plain] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশি উঁচু হয়না;

৩) কোনো কোনো স্থানে সমভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ কিছুটা উঁচু হয়, যেমন- উত্তর আমেরিকার রকি পর্বতের পাদদেশের সমভূমি [Plain] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ খানিকটা উঁচু ;

৪) কোনো কোনো স্থানের সমভূমি আবার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কিছুটা নীচে অবস্থিত হয়, যেমন- এশিয়া মহাদেশের কাস্পিয়ান সাগরের উপকূল ভাগের সমভূমি [Plain] সমুদ্রপৃষ্ঠের চেয়ে নীচু ;

৫) কখনও কখনও সমভূমি সামান্য কিছুটা ঢেউখেলানো হয়, যেমন- বর্ধ্মান জেলার সমভূমি কিছুটা ঢেউ খেলানো ।

৬) পৃথিবীর বেশিরভাগ সমভূমি সমুদ্র উপকূল এবং নদী অববাহিকায় গড়ে উঠেছে ।

৭) সমভূমি অতি ধীরে ঢালু হয়ে সাগর পৃষ্ঠের সঙ্গে মিশে ।

ঘ) অর্থনৈতিক গুরুত্ব

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড মূলত কৃষিভিত্তিক। একটি দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের প্রকৃতি ও প্রাচুর্যতা সে দেশের কৃষি ও অন্যান্য সমবৃদ্ধির প্রধান নিয়ামক হিসাবে কাজ করে। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। ভূ-প্রকৃতির যে সমস্ত নিয়ামক আর্থনীতিক কার্যাবলীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সেগুলো হলো – মাটি, পানি ও জলবায়ু।

১। চা চাষঃ পাহাড়ী এলাকার ভূমির ঢাল, মৃত্তিকার গুণাবলী ও স্বল্প গভীরতার মৃত্তিকা ও অপেক্ষাকৃত অধিক বৃষ্টিপাত ও শীতকালীন ঠান্ডা আবহাওয়ায় চা গাছ ভাল হয়। ফলে, সিলেটের পাহাড়ী বনাঞ্চল ও চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপকভাবে চা বাগান গড়ে উঠেছে।

২। চিংড়ি চাষঃ উপকূলীয় অঞ্চলের ব্যাপক এলাকা জুড়ে সাগরের লােনা পানি ভিত্তিক লবন চাষ ও জোয়ারের পানি আটকে রেখে চিংড়ি চাষাবাদ গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের একটি মানচিত্র লক্ষ্য করলে ভূ-প্রকৃতির প্রভাব স্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়।

৩। জুম চাষঃ সাম্প্রতিককালে আবিস্কৃত তাজিন ডং (বিজয়) পর্বতশৃঙ্গটি দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ যার উচ্চতা ১,২৩ মিটার। এটি আবিস্কৃত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ছিল কিওক্রাডং। এর উচ্চতা ১,২৩০ মিটার। এ অঞ্চলের পাহাড়সমূহ কৃষিকাজের জন্য উপযােগী নয়। তবে স্থানীয় অধিবাসীগণ সীমিত পরিসরে জুম পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে থাকেন।

৪।কৃষি ফসল উৎপাদনঃ সমভূমি থেকে এর উচ্চতা ৬ থেকে ১২ মিটার। এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সর্ববৃহৎ উঁচুভূমি। বর্তমানে বরেন্দ্র বহুমুখী সেচ প্রকল্প এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ অঞ্চলটিকে কৃষিকাজের জন্য বিশেষ উপযােগী করা হয়েছে।

Courtesy: Bangla notice

HSC Geography Assignment Answer 2022 11th Week

Post Related: HSC 11th week assignment 2022 pdfHSC 2022 assignment 11th week pdfHSC 2022 assignment 11th week question pdf, HSC 11th week assignment 2022HSC assignment 2022 Geography answerHSC 11th week assignment 2022 pdfassignment HSC 11th week 2022HSC 2022 assignment 1st week answer.

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
Post a Comment (0)

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top