12th week HSC History assignment Answer 2022. HSC History assignment answer 2022 is available on our website. If you are a 2022 HSC examinee and looking for History assignment answers then you come to the right place. you will find the History assignment solution PDF. Let’s know in more detail.
HSC History Assignment Answer 2022
DSHE has published HSC 2022 History assignment questions for students. Students should be solved the HSC History Assignment of the HSC 2022 exam. we will help to solve all the Mathematic Assignment questions for HSC students.
HSC 2022 History Subject Assignment Question
HSC History Assignment Answer 2022 12th Week
History is a Group subject for HSC candidates. HSC History assignment and answer will be given below.
উত্তর সমূহ
কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পটভূমি ব্যাখ্যা করা,
উত্তর:
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি জাতীয় রাজনৈতিক দল। এই দল সাধারণভাবে কংগ্রেস নামে পরিচিত। কংগ্রেস দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলদুটির একটি (অপর দলটি হল ভারতীয় জনতা পার্টি)। এটি একটি ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন। ১৮৮৫ সালে থিওজোফিক্যাল সোসাইটির কিছু “অকাল্ট” সদস্য কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন।
এঁরা হলেন অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম, দাদাভাই নওরোজি, দিনশ এদুলজি ওয়াচা, উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, মনমোহন ঘোষ, মহাদেব গোবিন্দ রানাডে ও উইলিয়াম ওয়েডারবার্ন প্রমুখ। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব দান করেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করলে, কংগ্রেস দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। সেই থেকে মূলত নেহেরু-গান্ধী পরিবারই কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দান করতে থাকেন।
মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পটভূমি ব্যাখ্যা,
উত্তর:
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল যা ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সকল দলের সাথে এ দলটিও নিষিদ্ধ ছিল এবং ১৯৭৬ সালে আইনগতভাবে বৈধতা পায়। এরপরে আবদুস সাবুর খান মুসলিম লীগকে পুনরুজ্জীবিত করেন এবং দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর তার একজন নেতা শাহ আজিজুর রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ১৯০৬ সালে ঢাকায় ব্রিটিশ রাজ্যের অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মুঘলদের সমর্থন ও ভারতবর্ষের অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর বিরোধিতা না করে ভারতের মুসলমানদের রক্ষা করার লক্ষ্যে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯৪৭ সালে ভারতের বিভাজন ও পাকিস্তান স্বাধীনতার পর, অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ পাকিস্তান মুসলিম লীগ হয়ে ওঠে। পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান মুসলিম লীগ ক্ষমতায় আসে। পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৫৫ সালের নির্বাচনে ইউনাইটেড ফ্রন্টে প্রাদেশিক আইন পরিষদ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ১৯৬০-এর দশকে মুসলিম লীগ দুটি পৃথক দল, পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন) এবং কাউন্সিল মুসলিম লীগে বিভক্ত হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান হয়ে ওঠে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন) এবং কাউন্সিল মুসলিম লীগ সহ সকল ধর্ম ভিত্তিক দল নিষিদ্ধ করা হয়।
১৯৭৬ সালে রাজনৈতিক দলসমূহ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ পাস করা হয় যা উভয় পক্ষকে বৈধতা করে দেয়। এরপর উভয় দল একত্রিত হয় এবং ১৯৭৬ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশ মুসলিম লীগ গঠিত হয়।
১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ দুটি ভগ্নাংশে বিভক্ত হয়েছিল। আবদুস সবুর খান দলটির রক্ষণশীল ভগ্নাংশের নেতৃত্ব দেন এবং শাহ আজিজুর রহমান উদারপন্থী ভগ্নাংশের নেতৃত্ব দেন। আজিজুর রহমান শীঘ্রই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে আবদুস সবুর খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ সংসদ নির্বাচনে ২০ টি আসন জিতেছিল।
সাবুর খানের মৃত্যুর পর, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ একাধিক ভগ্নাংশে বিভক্ত হয়ে যায়। দুইটি বিভক্ত অংশ (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ – বিএমএল) এখনও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিবন্ধিত।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহম্মদ বদরুদ্দোজা আহমেদ সুজা ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের।
কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের উল্লেখযােগ্য রাজনৈতিক কর্মসূচি ছকে উপস্থাপন,
উত্তর:
কংগ্রেস উল্লেখযােগ্য রাজনৈতিক কর্মসূচি
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন সভা-সমিতি ও সংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীসমূহ নিজেদের দাবি-দাওয়া এবং মতামত প্রকাশ করতে শুরু করে।
সংবাদপত্রের প্রসার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে সর্বভারতীয় ধ্যান-ধারণা প্রচারে সুবিধা হয়। এই প্রেক্ষাপটে ১৮৮৫ খ্রি. অবসরপ্রাপ্ত বৃটিশ সিভিলিয়ান অ্যালনে অক্টাভিয়ান হিউমের উদ্যোগ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম বৈঠক বোম্বাইতে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে বৃটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্যের নীতি অনুসরণ করলেও ধীরে ধীরে নানা ঘাতপ্রতিঘাতের মাধ্যমে এই দল ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পুরোভাগে এসে যায়। তা সত্ত্বেও মুসলিম সম্প্রদায়ের পূর্ণ আস্থা অর্জনে এই দল ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত দ্বিধাবিভক্ত জাতীয়তাবাদী ভাবধারার ফলে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ভারত ও পাকিস্তান নামক দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
প্রথম অধিবেশনে যেসব প্রস্তাব গৃহীত হয় সেগুলো ছিল:
(১) বৃটিশ ভারতীয় সরকারের কার্যাবলি তদন্তের জন্যে একটি রাজকীয় (জড়ুধষ) কমিশন গঠন;
(২) ভারত সচিবের পরিষদ বিলুপ্ত করা;
(৩) কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইন পরিষদসমূহের সংস্কার এবং নির্বাচনের মাধ্যমে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা;
(৪) সিভিল সার্ভিসের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা একই সঙ্গে ইংল্যান্ড এবং ভারতে নেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং পরীক্ষার্থীর বয়স অনধিক ২৩ বছর নির্ধারণ করা। অন্যান্য সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্যে ভারতে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা;
(৫) সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি অনাবশ্যক এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করা। উক্ত দাবিগুলোতে ভারতের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। একই সঙ্গে বৃটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্যহীনতার কোন ইঙ্গিত এই প্রস্তাবসমূহে পাওয়া যায় না।
মুসলিম লীগের উল্লেখযােগ্য রাজনৈতিক কর্মসূচি
১৯০৬ খ্রি. ঢাকায় নিখিল ভারত মুসলিম লীগ নামক রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা মুসলমানদের স্বাতন্ত্র্যবাদী চিন্তার ফল। ভারতীয় কংগ্রেস মুসলিম সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়। প্রধানত মুসলিম স্বার্থরক্ষার নামে ভারতের নেতৃস্থানীয় মুসলমানগণ মুসলিম লীগের গোড়াপত্তন করেন।
কংগ্রেসের মত মুসলিম লীগেরও প্রাথমিক পর্যায়ের নীতি ছিল বৃটিশ শাসনের প্রতি অকৃত্রিম আনুগত্য প্রদর্শন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় লীগ ও কংগ্রেস পারস্পরিক সৌহার্দ্যরে নীতি অনুসরণ করে। ১৯১৬ খ্রি. স্বাক্ষরিত লখনৌ চুক্তি এই নীতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পরবর্তী সময়ে জিন্নাহ্র নেতৃত্বে লীগ মুসলিম স্বার্থ রক্ষায় মনোনিবেশ করে এবং মুসলমানদের একমাত্র প্রনিতিধিত্বকারী সংগঠনের মর্যাদা দাবি করে।
এতে কংগ্রেসের সঙ্গে লীগের সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠে। ১৯৪০-এর মার্চ মাসে লীগের ‘লাহোর প্রস্তাব’ তথা মুসলমানদের জন্যে স্বতন্ত্র বাসভূমির দাবির ফলে এই সংঘাত চূড়ান্তরূপ নেয়। এই স্বাতন্ত্র্যবাদী রাজনীতি শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান নামক পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে পরিণতি লাভ করে।
সামাজিক ও রাজনৈতিক জাগরণে পারস্পরিক মতবিনিময়ে উদ্বুদ্ধ হওয়ার প্রয়ােজনীয়তা ব্যাখ্যা,
উত্তর:
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম হয়। এ ছিল দ্বিধাবিভক্ত জাতীয়তাবাদ তথা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চূড়ান্ত পরিণতি।
এই বিভাজনের মূল নিহিত ছিল সম্প্রদায় ভিত্তিক চিন্তা-চেতনার মধ্যে যা প্রথম থেকেই জাতীয়তাবাদী ভাবধারাকে আচ্ছন্ন করেছিল। ভারতের হিন্দু ও মুসলমান দুই প্রধান সম্প্রদায়ের ওপর বৃটিশ শাসনের অভিঘাত ছিল ভিন্নতর। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুগণ সহজে নতুন শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেদের জাগতিক উন্নয়নে সচেষ্ট হয়। এক্ষেত্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার জন্য তারা সব বৈষয়িক ব্যাপারে হিন্দুদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ে। এই প্রসঙ্গে উনিশ শতকের প্রথমার্ধে ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষা প্রচলনের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থায় ভারতীয়দের সামনে যতটুকু উন্নতির সম্ভাবনা ছিল তার চাবিকাঠি ছিল এই নতুন প্রচলিত শিক্ষা। হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এই শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আত্মোন্নতিতে সক্ষম হয়।
নানা কারণে মুসলিম সম্প্রদায় এই শিক্ষা গ্রহণে যুগপৎ অনিচ্ছুক ও অপারগ হওয়াতে তাদের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়। শিক্ষার ব্যাপারে মুসলমানগণ নানা দ্বিধাদ্বন্দে¡ থাকার ফলে শেষ পর্যন্ত সম্প্রদায় হিসেবে তারা হিন্দুদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ, উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে জাতীয়তাবাদী চেতনার উম্মেষকালে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান বিদ্যমান ছিল, যা তাদের মধ্যে পারস্পরিক ঘৃণাবিদ্বেষ, সন্দেহ ও বিভেদের বীজ বপন করে। রাজনৈতিক স্বাতন্ত্র্যবাদের সামাজিক-অর্থনৈতিক ভিত এভাবেই তৈরি হয়। এই সম্প্রদায় ভিত্তিক বিভেদ বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের ‘ভাগ কর এবং শাসন কর’ নীতির সহায়ক হয়। উনিশ শতকের শেষ দিকে যখন বৃটিশ সরকার কিছু কিছু সংস্কারের মাধ্যমে ভারতে প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেয় তখন মুসলমানদের মধ্যে হিন্দু আধিপত্যের ভীতি দেখা দেয়; কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসনই স্বাভাবিক। তখনকার ভারতবর্ষে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক আনুগত্যের বাইরে অন্য কোন কিছু রাজনীতিতে ক্রিয়াশীল হবে তা বোধগম্য হয়নি। মুসলমানদের ভীতি খুব অমূলক ছিল বলে মনে হয় না। অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক চেতনার ভিত্তি ছিল খুবই দুর্বল ছিল। বৈষয়িক সাফল্য হিন্দুদের মধ্যে একপ্রকার শ্রেয়বোধের জন্ম দেয় যা মুসলিম সম্প্রদায়ের ভীতি ও স্বাতন্ত্র্যবোধকে আরো বাড়িয়ে তোলে।
এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উনিশ শতকের মুসলিম নেতৃবৃন্দের মধ্যে ভারতীয় জাতীয়তাবোধের পরিবর্তে স্বীয় সম্প্রদায়ের জাগরণের প্রচেষ্টাই অধিক লক্ষ্য করা যায়। বস্তুত, হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের কার্যাবলিতে এই ধারণাই প্রতিষ্ঠিত হয় যে ঐক্যবদ্ধ ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণা তেমন শক্তিশালী ছিল না। ১৮৮৫ খ্রি. ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস গঠিত হওয়ার পর দেখা যায় যে এই সংগঠনে মুসলমানদের উপস্থিতি ছিল নগন্য। যদিও কিছু মুসলমান প্রথম থেকে কংগ্রেস পার্টিতে নেতৃত্বের পদে আসীন ছিলেন, তথাপি ব্যাপকহারে মুসলমানদের সমর্থন লাভে এই সংগঠন শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়। অসাম্প্রদায়িক ও সর্বভারতীয় জাতীয়তার দাবিদার হিসেবে কংগ্রেসের এই ব্যর্থতা সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকেই শক্তিশালী করে।
বিশ শতকের শুরুতে বৃটিশ ভারতীয় সরকার কর্তৃক গৃহীত কতিপয় সিদ্ধান্ত সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধির সহায়ক হয়। এ প্রসঙ্গে ১৯০৫ খ্রি. ভাইসরয় লর্ড কার্জনের বঙ্গবিভাগ উল্লেখযোগ্য। এর প্রতিক্রিয়া সারা ভারতে বিস্তার লাভ করে এবং রাজনীতিতে হিন্দু-মুসলিম সমস্যাকে আরো জটিল করে তোলে। যদিও সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র প্রশাসনিক সুবিধার্থে সুবৃহৎ বাংলা প্রদেশকে দুই ভাগ করা হয়, বঙ্গ বিভাগ বিরোধী উদীয়মান জাতীয়তাবাদী শক্তি একে ‘ভাগ কর এবং শাসন কর’ নীতির বহিপ্রকাশ হিসেবে দেখে। কার্জনের কিছু বক্তব্যের মধ্যেও এই ভেদনীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
১৯০৪ খ্রি. ফেব্রুয়ারি মাসে লর্ড কার্জন ঢাকায় প্রদত্ত এক ভাষণে পূর্ব বাংলার মুসলমানদের নিকট এমন এক সম্ভাবনা তুলে ধরেন যা পূর্বেকার দিনের মুসলমান রাজা-বাদশাহদের আমলে বিদ্যমান ছিল। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ, পশ্চাৎপদ পূর্ব বাংলার মানুষের সম্মুখে লর্ড কার্জন এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের চিত্র তুলে ধরেন। ঢাকার নওয়াব সলিমুল্লাহর সক্রিয় সমর্থনের মাধ্যমে পূর্ব বাংলার মুসলমানদের মধ্যে পরিকল্পিত বঙ্গবিভাগের পক্ষে জনমত সংগঠিত হতে থাকে। অপরদিকে কলিকাতা কেন্দ্রিক হিন্দু ভদ্রলোক শ্রেণী এর ঘোরতর বিরোধিতায় লিপ্ত হয়। বঙ্গ বিভাগের বিপক্ষেও সাম্প্রদায়িক এবং শ্রেণী স্বার্থের উপাদান নিহিত ছিল। পূর্ব বাংলা ও আসাম নিয়ে গঠিত নতুন প্রদেশ কলিকাতা কেন্দ্রিক পেশাজীবী, কল-কারখানার মালিক, ভূ-স্বামী ইত্যাদির শ্রেণীস্বার্থকে বিঘ্নিত করবে এটা সহজেই অনুমেয় ছিল। এ ধরনের বেশির ভাগ মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষিত ভদ্রলোক শ্রেণীর অন্তর্গত ছিল। সুতরাং বঙ্গ বিভাগের পশ্চাতে কার্জনের আসল উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন এর ফলে বাংলা তথা ভারতীয় রাজনীতিতে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি আরো ব্যাপকতর হয়।
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে বৃটিশ ভারত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের আবির্ভাব হয়। এই বিভাজন ছিল হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি। ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষকালেই সাম্প্রদায়িক ভাবধারা লক্ষ্য করা যায়। দুই প্রধান সম্প্রদায়ের মধ্যকার সার্বিক অসমতা তাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ ভারতীয় জাতীয়তাবোধ জাগরণের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে। সংখ্যালঘু মুসলমান সংখ্যাগুরু হিন্দু কর্তৃক শাসিত ও শোষিত হওয়ার ভয় করতো। এই ভীতি পুরোপুরি অমূলক ছিল না, কারণ ধর্মীয় আনুগত্যই ছিল সর্বাপেক্ষা প্রবল। ১৯৩৭Ñ৩৯ খ্রি. বৃটিশ ভারতের আট প্রদেশে কংগ্রেস শাসনের সময় মুসলিম ভীতি আরো ঘনীভূত হয়। ফলে মুসলিম লীগের দ্বিজাতিতত্ত্বের ধারণা ও স্বতন্ত্র আবাসভূমির দাবি জোরদার হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির মাধ্যমে এই দাবি পূর্ণতা লাভ করে। রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট সকলেই দায়ী ছিল।
HSC History Assignment Answer 2022 12th Week
Post Related: HSC 12th week assignment 2022 pdf, HSC 2022 assignment 12th week pdf, HSC 2022 assignment 12th week question pdf, HSC 12th week assignment 2022, HSC assignment 2022 History answer, HSC 12th week assignment 2022 pdf, assignment HSC 12th week 2022, HSC 2022 assignment 1st week answer.
Kerala Pareeksha Bhavan Office Of The Commissioner Of Government Examinations Pareeksha Bhavan, Thiruvananthapuram Every Year Published and Distribution in Kerala 6th, 7th, 8th, 9th, 10th Textbook 2023, Every Year Kerala Starting 6th, 7th, 8th, 9th, 10th Study Academic year in Month of Jun, Every year 6th, 7th, 8th, 9th, 10th new Students Join in More then 35 Laks of Students in Kerala State. Pareeksha Bhavan 7th Class Textbook Kerala Pareeksha Bhavan is an Education Board of Kerala which Prepares the Curriculum for the Schools Affiliated to it. It is an Autonomous body and is Responsible for Planning, Implementation.
ReplyDelete