Class Eight 19th Week Science Assignment Answer Given Here.
যেখানে পদার্থ আছে সেখানেই রসায়ন আছে। বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থ থাকে। বায়ুমণ্ডলে কিছু না কিছু রাসায়নিক পরিবর্তন অনবরত ঘটছে। আমরা যে মাটির উপরে বসবাস করছি সে মাটিতেও প্রতি মুহূর্তে ঘটে যাচ্ছে অসংখ্য পরিবর্তন।
শুধু বর্তমান সময় কেন, সুদূর অতীতেও এই পরিবর্তন ঘটেছে। যখন এ পৃথিবীর প্রথম জন্ম হলাে তখন পৃথিবী এমন ছিল না, পৃথিবী ছিল খুবই উত্তপ্ত। সেখানে কোনাে বাতাস ছিল না। ছিল না কোনাে জীবের অস্তিত্ব। কোটি কোটি বছর ধরে ঘটেছে অসংখ্য রাসায়নিক পরিবর্তন। সৃষ্টি হয়েছে বায়ুমণ্ডল, সৃষ্টি হয়েছে পানি, সৃষ্টি হয়েছে হাজারাে রকমের পদার্থ। এই সবকিছু মিলে পৃথিবীকে জীবজগতের জন্য বসবাস উপযােগী করেছে। মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদ তা ক্ষুদ্র অণুজীব (যেমন- ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা ইত্যাদি) হােক আর বৃহৎ উদ্ভিদ বা প্রাণীই হােক সকলের দেহই বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। প্রতিটি দেহ হলাে এক একটি বড় রাসায়নিক কারখানা। এখানে প্রতি মুহূর্তেই ঘটে চলেছে অসংখ্য রাসায়নিক বিক্রিয়া। আর সে জন্যই আমরা বেঁচে আছি।
আবার, সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে মানুষ বিভিন্ন পদার্থের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে তৈরি করে চলেছে আমাদের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সামগ্রী। যেমন-
আমরা যে জামাকাপড় পরি ,
যে পেস্ট দিয়ে দাঁত পরিষ্কারকরি,
যে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ায় বা ত্বকে যে কসমেটিকস ব্যবহার করি তা সবই রসায়নের অবদান।
এছাড়া আমরা পরিষ্কারের কাজে সাবান,
টয়লেট ক্লিনার,
জীবন রক্ষার জন্য ব্যবহার করি বিভিন্ন ধরনের ওষুধসামগ্রী।
কৃত্রিম সালোকসংশ্লেষ: সৌরশক্তির রান্নাঘর নাকি বিকল্প শক্তির
সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে গাছপালারা সৌরশক্তি থেকে খাদ্যের সংস্থান করে। সেই পদ্ধতিকে গবেষণাগারে নামানো গেলে জ্বালানীর সমস্যা কিছুটা মেটে। কিন্তু সালোকসংশ্লেষের অনুকরণ করা মানে কি? সৌরশক্তিকে ব্যবহার করার বহুল উপায়ের মধ্যে কোন পন্থাটা অবলম্বন করে গাছপালারা?
কাইরালিটির ওপর আলোকপাত
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আমরা অনেকেই খেয়াল করেছি আয়নার এপারের ‘আমি’-র ডান হাত হয়ে গিয়েছে ওপারের ‘আমি’-র বামহাত, বাম গালের তিলটি চলে গিয়েছে প্রতিবিম্বের ডান গালে! এই ডান-বাম পালটে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হয় রসায়নবিদদের! কারণ, অনেকসময় দুটি ওষুধের অণু – যারা একে অপরের প্রতিবিম্ব মাত্র – তাদের কার্যকরিতা পালটে গিয়ে হতে পারে মারাত্মক ট্র্যাজেডি। এই ডানহাতি আর বাঁহাতি অণুদের সম্বন্ধে, বিশেষত তাদের কী করে আলাদা করে চেনা যায়, সেই কাহিনী লিখছে ‘বিজ্ঞান’ দলের দুই অর্ণব রুদ্র।
প্রাণের উৎস
আমাদের চারপাশে প্রাণের এত কোলাহল! কোথা থেকে এলো এত প্রাণ? এই কঠিন প্রশ্নের জবাব সভ্যতার আদিকাল থেকে মানুষ খুঁজে চলেছে। বিজ্ঞানের এই জয়জয়কারের যুগে আমরা কতটুকু জানতে পেরেছি, তার বিশ্লেষণ নিয়ে হাজির অর্ণব রুদ্র, “প্রাণের উৎস” ধারাবাহিকে। আজ প্রথম পর্বে রইলো প্রশ্ন — পৃথিবীর জীবন দাতা জলের আবির্ভাব কোথা থেকে এবং কবে হলো?
সাবান : জলে তাজা মাথা, তেলে তাজা লেজা
ময়লা আসলে কি? সাবান জল দিয়ে ধুলে আমাদের জামা-কাপড় কেন পরিষ্কার হয়? ময়লা, সাবান এবং জলের আণবিক স্তরের গল্প পড়ুন শৃণ্বন্তু পালের কলমে।
এলেবেলে বালি, বহমান বালি
বালি: আপাতদৃষ্টিতে গবেষণার বিষয় হিসেবে তুচ্ছ লাগলেও বিজ্ঞানীদের ঘোল খাইয়েছে বহু বছর ধরে। না সে লোহার মত কঠিন, না জলের মত অবলীলায় বয়ে চলে। তার অদ্ভূত হোঁচট-খেয়ে-চলা প্রবাহকে বুঝতে গিয়ে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিছু রহস্যের কিনারাও হয়েছে। সেই কাহিনীই বলছে ব্রান্ডেইস ইউনিভার্সিটির সুমন্ত্র সরকার।
রাত্রির অন্ধকারে নর্দমার দুর্গন্ধের উৎস
নর্দমার কাদা থেকে পচা ডিমের দুর্গন্ধ বের হয়। কিন্তু রাত্রির অন্ধকারে। দিনের আলোতে সেই গন্ধ মিলিয়ে যায়। এমনটি কেন? এর উত্তর খুঁজতে চলে যেতে হবে ৫৭-কোটি বছর আগে যখন শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বাতাসে অক্সিজেন ছিল না। সেই খোঁজেই নেমেছেন সব্যসাচী সরকার।
পেঁয়াজি
পেঁয়াজ বড়ই পাজি । রান্না করতে পেঁয়াজ কেটেছ কি মরেছ । চোখ বেয়ে টপ টপ করে জল নেমে আসবে । এমন কেন হয়, তার রাসায়নিক প্রক্রিয়া নিয়ে লিখেছেন পদক্ষেপ স্বেচ্ছাসেবী ।
জোনাকি আলোকে
গাঢ় অন্ধকারে শ’য়ে শ’য়ে জোনাকির আলো দেখতে কার না ভালো লাগে। এই মায়াময় আলোর পেছনে রয়েছে এক অদ্ভুত জৈবরাসায়নিক বিক্রিয়া-বিয়োলুমিনেসেন্স।
দৈনন্দিন জীবনে রসায়ন
লঙ্কাকাণ্ড
“তেজপাতে তেজ কেন? ঝাল কেন লঙ্কায়?” তেজপাতার কথা পরে জানব, আপাতত লঙ্কাকাণ্ড শোনা যাক পদক্ষেপ স্বেচ্ছাসেবীর কাছ থেকে।
সোঁদা গন্ধ
“গরমকালে দুপুরবেলা জানালার পাশে বসে আছ হয়ত । আকাশ কালো করে এসেছে, বৃষ্টি নামবে এখুনি । বলতে বলতেই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল । এমন সময় হঠাৎ নাকে এলো সেই অদ্ভুত মায়া জড়ানো গন্ধ … সোঁদা গন্ধ ।… কিন্তু এই গন্ধ এলো কোথা থেকে ? মাটির কি নিজের গন্ধ হয় নাকি ?” – লিখেছে পদক্ষেপ স্বেচ্ছাসেবী।
আমাদের খাদ্য চাহিদাকে পূরণ করার জন্য ফসলের ক্ষেতে ব্যবহার করি সার ও কীটনাশক। যানবাহনে ব্যবহার করি পেট্রল, ডিজেল এসবই শিল্প ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদার্থের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে তৈরি করা হয় ।
আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ঘটে যাচ্ছে নানা ধরণের রাসায়নিক। নিচে রসায়নের কিছু অতি প্রয়ােজনীয় ক্ষেত্রের উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো ।
বস্তু/পদার্থ উপাদান উৎস ও রাসায়নিক পরিবর্তন
বায়ু প্রধানত অক্সিজেন আমরা শ্বাস নেওয়ার সময় যে বায়ু গ্রহণ করি সেই বায়ুরঅক্সিজেন শরীরের ভেতরে খাদ্য উপাদানের সাথে বিক্রিয়া করে শক্তি উৎপাদন করে। একে শ্বসন বলে যা একটি বিপাকীয় ক্রিয়া। C6H12O6 + 6O2 → 6CO2 + 6H2O + শক্তি
খাবারের পানি পানিসহ বিভিন্ন খনিজ লবণ। পানি আমাদের শরীরে বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। এটি শরীরের মধ্যে বিভিন্ন পদার্থের দ্রাবক হিসেবেও কাজ করে। জীবের শরীরের বেশির ভাগই পানি। শরীরের বিষাক্ত পদার্থ এ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে প্রস্রাব ও ঘামের সাহায্যে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। খাবারের পানিতে পানি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণ যেমন- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি ধাতুর লবণ(আয়ন হিসাবে)থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।
সার নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম উল্লিখিত মৌলগুলাে উদ্ভিদের জন্য খুব প্রয়ােজনীয় উপাদান। বিভিন্ন সারে এসব মৌলের যৌগ থাকে। তাই বিভিন্ন ধরনের সার উদ্ভিদের প্রয়ােজনীয় পুষ্টি প্রদান করে। ফলে ফসলের উৎপাদন ভালাে হয়।
কাগজ সেলুলােজ(C6H10O5)n কাগজের আবিষ্কার মানব সভ্যতার এক অনন্য অবদান। বাঁশ, আখের ছােবড়া ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে সেলুলােজ থাকে। কাগজ তৈরির কারখানায় এই সমস্ত বস্তুকে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ তৈরি করা হয়।