7th week HSC Logic assignment Answer 2022. HSC Logic assignment answer 2022 is available on our website www.khansworkstation.tech. If you are a 2022 HSC examinee and looking for Logic assignment answers then you come to the right place. you will find Logic assignment solution PDF. Let’s know in more detail.
HSC Logic Assignment Answer 2022
DSHE has published HSC 2022 Logic assignment questions for students. Students should be solved the HSC Logic Assignment of the HSC 2022 exam. we will help to solve all the Logic Assignment questions for HSC students.
HSC 2022 Logic 2nd Paper Question.
HSC Logic Assignment Answer 2022 7th Week
Logic is a Group subject for HSC candidates. HSC Logic assignment and answer will be given below.
যৌক্তিক বিভাগ বনাম অনুপপত্তি : ব্যখ্যা বিশ্লেষণ
যৌক্তিক বিভাগের প্রাসঙ্গিকতা ও প্রকৃতি
Relevancy and Nature of Logical Division
একটি মূলসূত্র বা নীতির ভিত্তিতে কোনাে শ্রেণি বা জাতিকে তার অন্তর্ভুক্ত নিম্নতর শ্রেণি বা উপজাতিতে বিভক্ত করার প্রক্রিয়াকে যৌক্তিক বিভাগ ( Logical Division ) বলে । অর্থাৎ নির্দিষ্ট নীতি বা সুত্রের ভিত্তিতে কোনাে জাতি বা উচ্চতর শ্রেণিকে তার অন্তর্ভুক্ত উপজাতি বা নিম্নতর শ্রেণিতে বিভক্ত করাই হলাে যৌক্তিক বিভাগ । ব্রিটিশ যুক্তিবিদ কেইনসের ভাষায় , ‘ বিভাজ্য পদটিকে সংজ্ঞায়িত করা যায় একটি প্রদত্ত পদের ব্যক্ত্যর্থের মধ্যে অবস্থিত ক্ষুদ্রতর দলসমূহের বর্ধিত রূপ হিসেবে । এছাড়া_একে সংজ্ঞায়িত করা যায় একটি জাতিকে তার অন্তর্গত উপজাতিসমূহে পৃথককরণ হিসেবে । যেমন : ‘ জীব ‘ একটি জাতি বা শ্রেণিবাচক পদ । এ পদকে আমরা বুদ্ধিবৃত্তি ’ নামক মূলনীতির ভিত্তিতে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী ‘ এ দুটি উপজাতিতে বা উপশ্রেণিতে ভাগ করতে পারি । জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার ক্ষেত্রে যৌক্তিক বিভাগ অন্যতম সহায়ক প্রক্রিয়া । তাই যৌক্তিক বিভাগ প্রক্রিয়া অধ্যয়ন বা অনুশীলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
যৌক্তিক বিভাগের প্রাসঙ্গিকতার উল্লেখযােগ্য কিছু দিক নিচে উল্লেখ করা হলাে:
এক : যৌক্তিক বিভাগ কোনাে জাতি এবং তার অগণিত বিভিন্ন উপজাতি অথবা একটি শ্রেণি এবং তার অন্তর্গত অন্যান্য উপশ্রেণি সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা দেয় । যার ফলে যেকোনাে নির্দিষ্ট পদের বিভাজন সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা যায় ।
দুই : যৌক্তিক বিভাগের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন জাতি এবং উপজাতির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সম্বন্ধে জানতে পারি । বস্তৃত জাতি ও উপজাতির মধ্যকার এই সম্পর্ক জানার ফলে আমাদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায় । তিন : যৌক্তিক বিভাগ আমাদের চিত্তকে সুশৃঙ্খল করতে সহায়তা করে । কেননা বিভাগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা যেভাবে কোনাে জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদকে তার অন্তর্গত বিভিন্ন উপজাতি বা উপশ্রেণিতে বিভক্ত করি তা একটি সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়া । এই প্রক্রিয়া আমাদের সুসংবদ্ধ চিন্তার অভ্যাস গঠনে সহায়তা করে ।
যৌক্তিক বিভাগের প্রকৃতি ( Nature of Logical Division )
সাধারণত যৌক্তিক বিভাগ প্রক্রিয়ায় যেকোনাে পদকে একটি মূলনীতির আলােকে দুটি অংশে বিভক্ত করা হয় । যুক্তিবিদ । কোহেন ও নেগেল বলেন , ব্যক্ত্যর্থের বা বিস্তৃতির দিক থেকে যৌক্তিক বিভাগ প্রক্রিয়ায় একটি শ্রেণিকে তার উপশ্রেণিসমূহে বিভক্ত করা হয় । যুক্তিবিদ এল , এস . স্টেবিং যৌক্তিক বিভাগ বলতে কোনাে জাতির অন্তর্গত উপজাতিসমূহের ধারাবাহিক বিভক্তকরণকে বুঝিয়েছেন । তাই বিভিন্ন যুক্তিবিদের বক্তব্যে একটি বিষয় স্পষ্ট যে , যৌক্তিক বিভাগের মাধ্যমে কোনাে জাতি বা শ্রেণিবাচক পদকে তার অন্তর্গত- উপজাতি বা নিম্নতর শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয় । উল্লেখ্য যে , একটি জাতিকে শুধু কতগুলাে উপজাতিতে বিভক্ত করলেই যৌক্তিক বিভাগের কাজ শেষ হয়ে যায় না । বরং বিভক্ত উপজাতির প্রত্যেকটিকে আবার অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রতর উপজাতিতে বিভক্ত করতে হয় । এভাবেই যৌক্তিক বিভাগ প্রক্রিয়ায় এমন কতগুলাে ক্ষুদ্রতম উপজাতিতে এসে উপস্থিত হতে হবে যাদেরকে আর ভাগ করা সম্ভব নয় । এক্ষেত্রে কোনাে জাতি বা শ্রেণিবাচক পদের যৌক্তিক বিভাগ করার সময় একটি মূলনীতি অনুসরণ করতে হয় । যেমন : মানুষ ‘ পদকে ‘ শিক্ষা ‘ নামক মূলনীতির ভিত্তিতে ‘ শিক্ষিত মানুষ ’ ও ‘ অশিক্ষিত মানুষ ‘ পদে বিভক্ত করতে পারি । কিন্তু একই সাথে মানুষ পদকে ‘ শিক্ষা ’ ও ‘ সততা ‘ এ দুটি মূলনীতি অনুযায়ী শিক্ষিত সৎ মানুষ ‘ ও অশিক্ষিত সৎ মানুষ ‘ পদে বিভক্ত করতে পারি না । আর যদি বিভক্ত করা হয় তাহলে অনুপপত্তির সৃষ্টি হবে । যেমন :
( খ ) উত্তর : একটি সূত্র বা নীতির ভিত্তিতে কোনাে জাতি বা উচ্চতর শ্রেণিকে তার অন্তর্গত উপজাতি বা নিম্নতর শ্রেণিসমূহে বিভক্ত করার প্রক্রিয়াকে যৌক্তিক বিভাগ ( Logical Division ) বলে । যৌক্তিক বিভাগের ক্ষেত্রে একটি মূলনীতি অনুসরণ করা হয় । যেমনঃ সভ্যতার ওপর ভিত্তি করে মানুষ ‘ শ্রেণিকে দুভাগে , ভাগ করা যায় । যথা— সভ্য মানুষ ও অসভ্য মানুষ । এখানে মানুষ পদকে একটি নীতির ভিত্তিতে বিভক্ত করা হয়েছে বলে এটি হলাে যৌক্তিক বিভাগ প্রক্রিয়া ।যৌক্তিক বিভাগে কোনাে পদের ব্যক্ত্যর্থের বিশ্লেষণ করা হয় । আর এক্ষেত্রে কতগুলাে নিয়ম অনুসরণ করা হয় । কিন্তু এমন অনেক ক্ষেত্র আছে যেখানে যৌক্তিক বিভাগের নিয়মগুলাে প্রয়ােগ করা যায় না । ফলে সেসব ক্ষেত্রে যৌক্তিক বিভাগ করা যায় না । তাই যৌক্তিক বিভাগ প্রক্রিয়ার সীমাবদ্ধতা রয়েছে । নিচে যৌক্তিক বিভাগের সীমা নির্দেশ করা হলাে :
এক: কোনাে বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তুর ক্ষেত্রে যৌক্তিক বিভাগ । সম্ভব নয় । কেননা বিভাগ প্রক্রিয়া কেবলমাত্র জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য । অর্থাৎ যৌক্তিক বিভাগের মাধ্যমে জাতি বা শ্রেণিবাচক পদকে বিভিন্ন উপজাতি বা উপশ্রেণিতে ভাগ করা যায় । এ কারণে বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে হাবিব , নাবিল , সুজন কিংবা বস্তু হিসেবে টেবিল , চেয়ার , বই ইত্যাদির যৌক্তিক বিভাগ করা যায় না ।
দুই: ক্ষুদ্রতম উপজাতি বা অপরতম উপজাতির ( Infima species ) কোনাে যৌক্তিক বিভাগ হয় না । কেননা এ ধরনের পদকে নিম্নতম অন্য কোনাে উপজাতি বা উপশ্রেণিতে ভাগ করা যায় না । তাই অপরতম উপজাতির ক্ষেত্রে যৌক্তিক বিভাগ সীমাবদ্ধ ।
তিন : বিশিষ্ট সমষ্টিবাচক পদের যৌক্তিক বিভাগ হয় না । কেননা এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পদটি বিভক্ত পদের ওপর প্রযােজ্য হয় না । যেমন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিয় প্রশ্মাগার । এটি একটি বিশিষ্ট সমষ্টিবাচক পদ । এ পদকে যৌক্তিকভাবে ভাগ করা যায় না ।
যৌক্তিক বিভাগের নিয়মাবলি Rules of Logical Division
যৌক্তিক বিভাগে একটি জাতি বা শ্রেণিবাচক পদকে তার অন্তর্গত বিভিন্ন উপজাতিতে ভাগ করা হয় । কোনাে জাতি বা শ্রেণিচক পদকে তার অন্তর্গত উপজাতিতে ভাগ করার সময় কতগুলাে নিয়ম মেনে চলতে হয় , যেগুলােকে যৌক্তিক বিভাগের নিয়ম বলে । যুক্তিবিদগণ যৌক্তিক বিভাগের জন্য ছয়টি মিয়মের কথা বলেছেন । এগুলাে হলাে
প্রথম নিয়ম ; যৌক্তিক বিভাগে একটি জাতিবাচক পদকে বিভক্ত করতে হয় , কোনাে ব্যক্তি বা বস্তুকে নয় । ( Logical Division is always of a class and not of an individual . ) যৌক্তিক বিভাগে একটি জাতিবাচক পদকে তার অন্তর্গত দুটি উপশ্রেণিতে বিভক্ত করা হয় । যার একটিতে ঐ পদের গুণ উপস্থিত থাকে , অন্যটিতে অনুপস্থিত থাকে । যেমন : মানুষ নামক জাতিবাচক পদকে শিক্ষার ভিত্তিতে শিক্ষিত মানুষ ’ ও অশিক্ষিত মানুষ ‘ পদে বিভক্ত করতে পারি । কিন্তু মানুষ হিসেবে হাসান , সাগর , নয়ন প্রভৃতি বিশিষ্ট ব্যক্তিতে ভাগ করতে পারি না । যৌক্তিক বিভাগের এ নিয়ম লঙ্ঘন করে কোনাে ব্যক্তি বা বস্তুকে তার অঙ্গ – প্রত্যঙ্গে কিংবা গুণসমূহে ভাগ করলে অঙ্গগত বাগুণগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটবে । যেমন : একটি গাছকে তার মূল , কাণ্ড , পাতা , ফুল , ফলে ভাগ করা অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তির ( Fallacy of Physical Division ) দৃষ্টান্ত । পাশাপাশি একটি আপেলকে তার বর্ণ , গন্ধ , স্বাদ , আকৃতিতে ভাগ করা গুণগত বিভাগ অনুপপত্তির ( Fallacy of Metaphysical Division ) দৃষ্টান্ত ।
দ্বিতীয় নিয়মঃ যৌক্তিক বিভাগে সর্বদা একটিমাত্র মূলনীতি অনুসরণ করতে হবে । ( Logical Division should be only one principle of division at a time . ) যৌক্তিক বিভাগের ক্ষেত্রে মূলনীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় । কোনাে পদকে বিভাজন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটিমাত্র মূলনীতি অনুসরণ করতে হয় , কোনােভাবেই একের অধিক নয় । এ নীতির কারণে আমরা শিক্ষা মূলনীতির ভিত্তিতে মানুষ জাতিকে শিক্ষিত ’ ও ‘ অশিক্ষিত ’ এ দুটি উপজাতিতে ভাগ করতে পারি । সততার ভিত্তিতে ‘ সৎ ‘ ও অসৎ ‘ এ দুটি উপজাতিতে ভাগ করতে পারি । কিন্তু কোনােভাবেই মানুষকে ‘ শিক্ষা ’ ও ‘ সততা ‘ এ দুটি মূলনীতি অনুযায়ী , ‘ শিক্ষিত সৎ মানুষ ‘ ও অশিক্ষিত সৎ মানুষ ‘ পদে বিভক্ত করতে পারি না । যৌক্তিক বিভাগের এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে সংকর বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Cross Division ) ঘটবে ।
তৃতীয় নিয়মঃ যৌক্তিক বিভাগে বিভাজ্য জাতির ব্যর্থ এবং বিভক্ত উপজাতিগুলাের ব্যর্থ পরস্পর সমান হবে । ( The sub – classes into which the term is divided , must be together co – extensive with the whole . ) যৌক্তিক বিভাগ হলাে কোনাে পদের ব্যক্ত্যর্থের বিশ্লেষণ । এ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় জাতির ব্যর্থ এবং উপজাতিগুলাের ব্যর্থ পরস্পর সমান হয় । যেমন : বুদ্ধিবৃত্তির ভিত্তিতে ‘ জীব ‘ জাতিকে মানুষ ’ ও ‘ অন্যান্য প্রাণীতে ভাগ করলে বিভাজ্য জাতির ব্যক্ত্যর্থ বিভক্ত উপজাতিগুলাের ব্যর্থের চেয়ে কম হলে অতিসংকীর্ণ বা অব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Too Narrow Division ) ঘটে । যেমন : ত্রিভুজকে যদি সমবাহু এবং সমদ্বিবাহু এই দুইভাগে ভাগ করা হয় তাহলে অব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটবে । কেননা এ বিভক্ত প্রক্রিয়া থেকে বিষমবাহু নামক ত্রিভুজ বাদ পরেছে । আবার , কোনাে । বিভক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণিগুলাের মিলিত ব্যর্থ বিভাজ্য জাতি বা শ্রেণির ব্যত্যর্থের চেয়ে বেশি হলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে । যেমন : মুদ্রা’কে স্বর্ণমুদ্রা , রৌপ্যমুদ্রা , ব্রোঞ্জমুদ্রা ও অন্যান্য ধাতুর মুদ্রা এবং ব্যাংক নােটে বিভক্ত করলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Too wide – Division ) ঘটে । কেননা এখানে স্বর্ণ মুদ্রা এবং অন্যান্য ধাতুর মুদ্রা এ দুটি ভাগের মধ্যেই মুদ্রা শ্রেণির ব্যর্থ নিঃশেষিত হয়ে যায় । কিন্তু এরপরেও ব্যাংক নােট যুক্ত করায় মুদ্রার ব্যত্যৰ্থ বৃদ্ধি পায় । ফলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে ।
চতুর্থ নিয়ম: বিভাজ্য উপজাতিগুলাে পরস্পর বিচ্ছেদক হবে , যেন একটির সাথে অন্যটি মিশে না যায় । ( In a Logical Division , the sub – classes must not overlap , but must be mutually exclusive . ) যৌক্তিক বিভাগে একটি শ্রেণিবাচক পদকে এমনভাবে বিভাজন করা হয় যেন উপজাতিগুলো পরস্পর বিচ্ছেদ হয় । অর্থাৎ একই সদস্য একাধিক উপজাতির মধ্যে থাকতে পারে না । এর ফলে একটি উপজাতি অন্য উপজাতি থেকে সম্পূর্ণ পৃথক হয় । যেমন : মানুষ ‘ পদকে ফর্সা , শ্যামলা ও কালাে এ তিনটি উপজাতিতে ভাগ করলে বিভক্ত উপজাতিগুলাে পরস্পর পৃথক বা আলাদা হয় । অর্থাৎ উপজাতিগুলাে পরস্পর বিচ্ছেদ হয় । যৌক্তিক বিভাগের চতুর্থ নিয়মটি লজ্জন করলে পরম্পরাগী বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Overlapping Division ) ঘটে । যেমন : ‘ মানুষ কে লম্বা , ফর্সা ও সৎ এই তিন শ্রেণিতে ভাগ করলে বিভক্ত উপজাতিগুলাে পরস্পরের সাথে মিশে যায় । এক্ষেত্রে এক উপজাতিকে অন্য উপজাতি থেকে আলাদা করা যায় না । অর্থাৎ উপজাতিগুলাে পরস্পর বিচ্ছেদ হয় না ।
৫ম নিয়ম : যৌক্তিক বিভাগের ক্ষেত্রে বিভাজ্য জাতিটির নাম বিভক্ত উপজাতিগুলাের প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে । ( 1 ‘ he name of the class divided should be applicable , in the same sense , to each of the sub – classes . ) যৌক্তিক বিভাগে যে শ্রেণিবাচক পদকে বিভাজন করা হয় তাকে বিভাজ্য জাতি বলে । বিভাজ্য জাতির অপর নাম হলাে বিভক্ত মূল । অন্যদিকে , যে বিভাজ্য জাতিকে নির্দিষ্ট উপজাতিতে বিভক্ত করা হয় তাকেই বিভক্ত উপজাতি বলে । যৌক্তিক বিভাগে বিভাজ্য জাতির অবস্থান প্রতিটি উপজাতিতে নিশ্চিত করতে হয় । অর্থাৎ উপজাতিগুলাে কোন জাতির অন্তর্গত তা যেন স্পষ্টভাবে বােঝা যায় । যেমন : মানুষকে যখন সৎ মানুষ ’ ও ‘ অসৎ মানুষ ’ এ দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় তখন প্রতিক্ষেত্রেই মানুষ নামটি যুক্ত থাকে ।
যষ্ঠ নিয়মঃ ক্রম বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রতিটি জাতিকে তার নিকটতম উপজাতিতে’ভাগ করতে হবে , মধ্যবর্তী কোনাে স্তরকে বাদ দেয়া যাবে না । ( In a continued division , each step must divide a class or sub – class ; there should not be any leap . ) যৌক্তিক বিভাগের এ নিয়মটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কেননা একটি জাতিকে ভাগ করার ক্ষেত্রে কোনাে মধ্যবর্তী উপজাতি বাদ পরলে তবে উল্লম্ফন বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Division by Leap ) ঘটে । যেমন : প্রাণী জাতিকে ‘ মানুষ ‘ ও অমানুষ ( মানুষ ব্যতিত অন্যান্য প্রাণী ) উপজাতিতে এবং মানুষকে সততার ভিত্তিতে ‘ সৎ ‘ ও অসৎ ‘ এ দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয় । কিন্তু প্রাণী জাতিকে সততার মানদণ্ডে সৎ ও অসৎ এ দুটি ভাগে বিভক্ত করলে উল্লম্ফন বিভাগ অনুপপত্তি ঘটবে । কারণ এক্ষেত্রে মধ্যবর্তী স্তরকে হিসেবে মানুষ পদকে বাদ দেওয়া হয়েছে ।
( ঘ ) যৌক্তিক বিভাগের নিয়ম লঙ্নজনিত অনুপপত্তি Rules of Logical Division and the Fallacies in Violation of the Rules
পদের যৌক্তিক বিভাগ নির্ভুল করতে ছয়টি নিয়ম অনুসরণ করা হয় । অর্থাৎ কোনো পদের যৌক্তিক বিভাগ করতে হলে অবশ্যই যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী করতে হবে । অন্যথায় বিভাগ প্রক্রিয়া অনুপপত্তি বা ডাস্তি বলে বিবেচিত হবে । নিচে যৌক্তিক বিভাগের নিয়মাবলি এবং নিয়ম লঙ্ঘনজনিত অনুপপত্তিসমূহ উল্লেখ করা হলো :
প্রথম নিয়ম লঙ্ঘনজনিত অনুপপত্তি : যৌক্তিক বিভাগের প্রথম নিয়ম অনুসারে , একটি শ্রেণিবাচক বা জাতিবাচক পদকে ভাগ করতে হয় কোনাে বিশেষ বস্তু বা ব্যক্তিকে নয় । অর্থাৎ আমরা কোনাে শ্রেণিবাচক বা জাতিবাচক পদকে তার অন্তর্গত নিম্নতর উপজাতিতে বিভক্ত করতে পারি । যেহেতু ব্যক্তি বা বস্তুর নিম্নতর শ্রেণি বা উপজাতি নেই তাই তাদের যৌক্তিক বিভাগ সম্ভব নয় । যৌক্তিক বিভাগের প্রথম নিয়মটি লঘন করে যদি কোনাে বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তুর যৌক্তিক বিভাগ করা হয় , সেক্ষেত্রে ধরনের অনুপপত্তি ঘটে । সেগুলাে হলাে :
ক , অঙ্গগত বিভাগ অনুপপতি ( Fallacy of Physical Division ) খ, গুণগত বিভাগ অনুপপতি ( Fallacy of Metaphysical Division )
ক , অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Physical Division ) : কোনাে জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদের পরিবর্তে বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তুকে তার বিভিন্ন অঙ্গ – প্রত্যগে বিভক্ত করা হলে অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে । যেমন : সক্রেটিসকে তার কেশহীন মস্তক , খাড়া নাক , ছােট – খাটো আঙ্গুল ইত্যাদি অঙ্গ – প্রত্যঙ্গে বিভক্ত করলে অহ গত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটবে । কেননা ‘ সক্রেটিস ‘ কোনো জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদ নয় বরং একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম । তাঁর কোনাে উপজাতি বা উপশ্রেণি নেই । তারপরও যৌক্তিক বিভাগের নিয়ম লঙ্ন করে সক্রেটিসকে তার বিভিন্ন অঙ্গ – প্রত্যঙ্গে ভাগ করা হলে অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটবে ।
খ . গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Metaphysical Division ) ; কোনাে জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদের । পরিবর্তে যদি বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তুকে তার বিভিন্ন গুণে ভাগ করা হয় তবে গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে । যেমন : সক্রেটিসকে প্রজ্ঞাবান , অপেশাদার মহান শিক্ষক , সংসার বিমুখ , সাহসী , শিষ্যদের প্রতি উদার ইত্যাদি গুণে বিভক্ত করলে গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটবে । কেননা সক্রেটিস ‘ কোনাে জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদ নয় বরং একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম । এ ধরনের অনুপপত্তিকে যুক্তিবিদগণ গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি বলে চিহ্নিত করেছেন।
দ্বিতীয় নিয়ম লঙ্ঘনজনিত অনুপপত্তি: যৌক্তিক বিভাগের দ্বিতীয় নিয়ম অনুসারে , সর্বদা একটিমাত্র মূলনীতি অনুসরণ করে পদের বিভাজন করতে হবে । অর্থাৎ পদের যৌক্তিক বিভাগ করার সময়ে একাধিক মূলসূত্র ব্যবহার করা যাবে না । এ কারণে বলা হয় , যৌক্তিক বিভাগ হলাে এক নীতি ভিত্তিক । যৌক্তিক বিভাগে এ নিয়ম লজ্জন করে একই সময়ে একাধিক নীতি বা মূলসূত্র গ্রহণ করে পদের ভাগ করা হলে সংকর বিভাগ অনুপপতি Fallacy of Cross Division ) ঘটবে ।
নিচে এ অনুপপত্তির ব্যাখ্যা করা হলাে :
সংকর বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Cross Division ) : যৌক্তিক বিভাগে একাধিক মূলসূত্র গ্রহণ করা হলে উপজাতি বা উপশ্রেণিগুলাে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে । এক্ষেত্রে যৌক্তিক বিভাগে যে অনুপপত্তি দেখা দেয় তাকে সংকর বিভাগ অনুপপত্তি বলে । যেমন কোনাে মানুষকে শিক্ষিত ও সং হিসেবে বিভক্ত করলে সংকর বিভাগ অনুপপত্তি ঘটবে । কারণ এখানে একটি নীতির পরিবর্তে দুটি নীতি ( শিক্ষা ও সততা ) অনুসরণ করা হয়েছে । ফলে সংকর বিভাগ অনুপপত্তি ঘটেছে । বস্তুত শিক্ষা নীতির ভিত্তিতে মানুষকে শিক্ষিত ও অশিক্ষিত পদে কিংবা সততার মানদণ্ডে সৎ ও অসৎ পদে বিভক্ত করা যায় । এরূপ নীতি অনুসরণের মাধ্যমে সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি এড়ানাে যায় ।
তৃতীয় নিয়ম লঙ্ঘনজনিত অনুপপত্তি : যৌক্তিক বিভাগের তৃতীয় নিয়ম অনুসারে , বিভাজ্য জাতির ব্যত্যর্থ ( Denotation ) এবং বিভক্ত উপজাতির ব্যক্ত্যর্থ পরস্পর সমান হবে । এ নিয়ম লঙ্ঘন করে বিভক্ত উপজাতির মিলিত ব্যর্থ যদি বিভাজ্য জাতির ব্যত্যথের চেয়ে কম বা বেশি হয় তাহলে দুই ধরনের অনুপপত্তি বা ভ্রান্তি ঘটবে । যথা : ক . অতিসংকীর্ণ বা অব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Too Narrow Division ) খ , অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Too Wide Division )
ক . অতিসংকীর্ণ বা অব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallaey of Too Narrow Division ) : যৌক্তিক বিভাগে বিভক্ত উপজাতির মিলিত ব্যত্যর্থ যদি বিভাজ্য জাতির ব্যত্যর্থের চেয়ে কম হয় তাহলে অতিসংকীর্ণ বা অব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে । যেমন : ত্রিভুজকে যদি সমবাহু ও সমদ্বিবাহু এ দুইভাগে ভাগ করা হয় তাহলে অব্যাপক বিভাগ অনুপপতি ঘটবে । কেননা এ বিভাজ্য প্রক্রিয়া থেকে ত্রিভুজের অন্য একটি প্রকরণ বিষমবাহু ত্রিভুজ বাদ পড়েছে । ফলে সমবাহু ও সমদ্বিবাহু ত্রিভুজের মিলিত সংখ্যা ত্রিভুজের ব্যত্যর্থ থেকে কম হয়েছে । যার ফলে অতিসংকীর্ণ বা অব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তির উদ্ভব ঘটেছে । ত্রিভুজ ‘ পদটির ব্যক্ত্যর্থের সমান হতে হলে সমবাহু , সমদ্বিবাহু এবং বিষমবাহু এ তিন প্রকার ত্রিভুজকেই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে । তবেই অতিসংকীর্ণ বা অব্যাপক বিভাগ অনুপপতি এড়ানাে সম্ভব হবে ।
খ , অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Too Wide Division ) : যৌক্তিক বিভাগে বিভক্ত উপজাতির মিলিত ব্যর্থ যদি বিভাজ্য জাতির ব্যক্ত্যর্থের চেয়ে বেশি হয় তাহলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি । যেমন : ‘ মুদ্রা’কে স্বর্ণমুদ্রা , রৌপ্যমুদ্রা , ব্রোঞ্জমুদ্রা ও অন্যান্য ধাতব মুদ্রা এবং ব্যাংক নােটে বিভক্ত করলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটবে । কেননা স্বর্ণ মুদ্রা এবং অন্যান্য ধাতব মুদ্রা এ দুই ভাগের মধ্য দিয়েই মুদ্রার ব্যর্থ সমান হয় । কিন্তু উক্ত দৃষ্টান্তে , মুদ্রার ব্যক্ত্যর্থের সাথে ব্যাংক নােট অতিরিক্ত যােগ করায় মােট ব্যত্যৰ্থ বেশি হয়েছে । ফলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটেছে ।
চতুর্থ নিয়ম লঙ্নজনিত অনুপপতি : যৌক্তিক বিভাগের চতুর্থ নিয়ম অনুযায়ী , বিভাজ্য উপজাতিগুলাে পরস্পর বিচ্ছেদ হবে , যেন একটির সাথে অন্যটি মিশে না যায় । অর্থাৎ যৌক্তিক বিভাগের ক্ষেত্রে বিভক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণিগুলাে পরস্পর বিচ্ছিন্ন থাকবে , যেন একটির সাথে অন্যটি মিশে না যায় । এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে পরম্পরাগী বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Overlapping Division ) ঘটবে ।
পরম্পরাঙ্গী বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Overlapping Division ) ; যৌক্তিক বিভাগের উপজাতিগুলাে একটি থেকে অন্যটি আলাদা হবে । যেন একই সদস্য একাধিক উপজাতির মধ্যে থাকতে না পারে । কিন্তু এ বিষয়টি অমান্য করে কোনাে জাতির বিভাজ্য উপজাতিগুলাে একটি অন্যটির সাথে মিলেমিশে থাকে , তবে সেই বিভাজ্য প্রক্রিয়াটি ভ্রান্ত হয় । এ ভ্রান্ত প্রক্রিয়াই হলাে পরস্পরাগী বিভাগ অনুপপত্তি । যেমন : মানুষ ‘ – কে বিদ্বান , ফর্সা ও সৎ হিসেবে ভাগ করলে বিভক্ত উপজাতিগুলাে পরস্পরের সাথে মিশে যায় । এক্ষেত্রে একটি উপজাতিকে অন্য উপজাতি থেকে আলাদা করা যায় না । অর্থাৎ উপজাতিগুলাে পরস্পর বিচ্ছেদ হয় না । তাই এক্ষেত্রে পরস্পরাগী বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে ।
পঞম নিয়ম লঙ্নজনিত অনুপপত্তি : যৌক্তিক বিভাগের পঞম নিয়ম অনুযায়ী , বিভাজ্য জাতি বা শ্রেণির নাম বিভক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণিসমূহের ক্ষেত্রে একই অর্থে প্রযােজ্য হতে হবে । অর্থাৎ কোনাে জাতি বা শ্রেণিকে বিভিন্ন উপজাতি বা উপশ্রেণিতে বিভক্ত করলে উপজাতির সাথে জাতির নাম বহাল থাকবে । যদি বহাল না থাকে তাহলে বুঝতে হবে ঐ উপজাতি বা উপশ্রেণি সংশ্লিষ্ট জাতি বা শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত নয় । এ নিয়ম লঙ্ন করে , কোনাে পদের যৌক্তিক বিভাগে বিভক্ত উপজাতিগুলাের সার্থে জাতি বা মূল শ্রেণির নাম সংযুক্ত না করলে অনুপপত্তির সৃষ্টি হবে । এ ধরনের অনুপপত্তিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা
ক , বিশিষ্ট অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Particular Physical Division )
খ , বিশিষ্ট গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Particular Metaphysical Division )
ক . বিশিষ্ট অঙ্গগত বিভাগ অনুপপতি ( Fallacy of Particular Physical Division ) : যৌক্তিক বিভাগে কোনাে জাতি না করে জাতি বা শ্রেণিকে তার অন্তর্গত উপজাতি বা উপশ্রেণিতে বিভক্ত না করে ঐ বা শ্রেণির কোনাে বিশেষ সদস্যের বিভিন্ন । অঙ্গ – প্রত্যঙ্গে বিভক্ত করা হলে বিশিষ্ট অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে । কেননা এ ক্ষেত্রে কোনাে জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদকে জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক হিসেবে বিবেচনা না করে বিশেষ সদস্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় । যেমন : ‘ মানুষ ‘ পদকে হাত পা , নাক , চোখ , ইত্যাদি অঙ্গ – প্রত্যঙ্গে বিভক্ত করলে বিশিষ্টকরণ অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটবে । কেননা মানুষ ‘ পদটি একটি জাতিবাচক পদ । কিন্তু যখন আমরা মানুষ পদকে হাত , পা , নাক , চোখ ইত্যাদি অঙ্গ – প্রত্যঙ্গে বিভক্ত করি তখন মানুষ জাতির কোনাে বিশেষ সদস্যের কথা মনে করেই এ বিভক্তকরণ করে থাকি
খ . বিশিষ্ট গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি ( Fallacy of Particular Metaphysical Division ) : কোনাে জাতি বা শ্রেণিকে তার অন্তর্ভুক্ত উপজাতি বা উপশ্রেণিতে বিভক্ত না করে যদি সংশ্লিষ্ট জাতি বা শ্রেণির অন্তর্গত বিশেষ বিশেষ সদস্যের গুণাবলির মাধ্যমে বিভক্ত করা হয় , যার ওপর বিভাজ্য জাতি বা শ্রেণির নাম প্রযােজ্য হয় না । তাহলে বিভাগীকরণ প্রক্রিয়ায় যে অনুপপত্তি ঘটে তাকে বিশিষ্টকরণ গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি বলে । যেমন কমলালেবুকে যদি গােলাকারত্ব , মিষ্টত্ব ও হলুদত্ব গুণে বিভক্ত করা হয় তাহলে বিশিষ্টকরণ গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটবে । কেননা কমলালেবুকে সিলেটি কমলা ও অ – সিলেটি কমলা এ দুই ভাগে করলে উভয় উপশ্রেণিতে কমলা নামটি প্রযােজ্য হত । কিন্তু কমলালেবুকে গােলাকারত্ব , মিষ্টত্ব ও হলুদত্ব গুণে বিভক্ত করার ফলে কমলালেবুর নামটি সেগুলাের ওপর প্রযােজ্য হয় । কারণ গােলাকারত্ব , মিষ্টত্ব ও হলুদ গুণের সাথে কমলালেবু ব্যতীত অন্যান্য ফলের নামও ( যেমন : মালটা ফল ) যুক্ত করা যায় । এ কারণে কমলালেবুর এরূপ বিভাগকরণে বিশিষ্টকরণ গুণগতু বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে ।
ষষ্ঠ নিয়ম লঙ্নজনিত অনুপপত্তি : যৌক্তিক বিভাগের ষষ্ঠ নিয়ম অনুসারে , ক্রম বিভাজনের ক্ষেত্রে প্রতিটি জাতিকে তার নিকটতম উপজাতিতে ভাগ করার ক্ষেত্রে মধ্যবর্তী কোনাে স্তরকে বাদ দেয়া যাবে না । অর্থাৎ বিভাগায়নের প্রতিটি ধাপে জাতি বা শ্রেণির সাথে উপজাতি বা উপশ্রেণির কোনাে দূরত্ব ( Gap ) থাকবে না । যেমন : জীবকে সরাসরি , সৎ ও অসৎ এ দুইভাগে ভাগ করা যাবে না । কেননা সৎ ও অসৎ পদ দুটি কেবল মানুষের ওপর প্রযােজ্য , সরাসরি জীবের সকল উপজাতির ওপর প্রযােজ্য নয় । তাই জীবকে সৎ ও অসৎ পদে ভাগ করার পূর্বে মানুষ ও অন্যান্য জীব এ দুই উপজাতিতে বিভক্ত করতে হবে । অর্থাৎ প্রক্রিয়াটি এমন হবে:
HSC Logic Assignment Answer 2022 7th Week
Post Related: HSC 7th week assignment 2022 pdf, HSC 2022 assignment 7th week pdf, HSC 2022 assignment 7th week question pdf, HSC 7th week assignment 2022, HSC assignment 2022 Logic answer, HSC 7th week assignment 2022 pdf, assignment HSC 7th week 2022, HSC 2022 assignment 2nd week answer.
7th week assignment 2022 pdf download
7th week assignment class 10
ssc 2022 7th week assignment pdf download
7th week assignment ssc 2022 ict answer
7th week assignment answer ssc 2022
ssc 2021 7th week assignment pdf download
ssc 2022 7th week assignment solution
7th week assignment hsc 2022