HSC Civics Assignment Answer 2021 5th Week

0
HSC Civics Assignment Answer 2021 5th Week
5th week HSC Civics assignment Answer 2021. HSC Civics assignment answer 2021 is available on our website www.khansworkstation.tech. If you are a 2021 HSC examinee and looking for Civics assignment answers then you come to the right place. you will find Civics assignment solution PDF. Let’s know in more detail.

HSC Civics Assignment Answer 2021

DSHE has published HSC 2021 Civics assignment questions for students. Students should be solved the HSC Civics Assignment of the HSC 2021 exam. we will help to solve all the Civics Assignment questions for HSC students. 

HSC 2021 Civics 1st Paper Question.

HSC Civics Assignment Answer 2021 5th Week

HSC Civics Assignment Answer 2021 5th Week

Civics is a Group subject for HSC candidates. HSC Civics assignment and answer will be given below.

জাতীয়তাবাদের বিকাশে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব মূল্যায়ন কর।

সমাধানঃ

বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি হচ্ছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। স্বাধীন বংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই তৎকালীন পূর্ব বাংলার গণতান্ত্রিক আন্দোলন সুসংহত হয় এবং অগ্রগতি লাভ করে। ভাষা আন্দোলনের চেতনাই জনগণের মধ্যে পরবর্তীকালে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক নতুন চেতনার উন্মেষ ঘটায় এবং এর মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটে। বাঙালি জনগণের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আকাক্সক্ষাকে হাজারগুণে বাড়িয়ে দেয় এ আন্দোলন।

ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিল, তা পরবর্তী আন্দোলনগুলোর জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনে। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক বিজয়, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য বিশেষভাবে প্রেরণা জুগিয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। সুতরাং ভাষা আন্দোলনই পরবর্তীকালে সব রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার পথকে সুপ্রশস্ত করেছে । তাই ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ উদ্ভবে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।

পাকিস্তান সৃষ্টির আগেই এই রাষ্ট্রের ভাষা কী হবে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ১৯৩৭ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলিম লীগের দাপ্তরিক ভাষা উর্দু করার প্রস্তাব করলে বাঙ্গালিদের নেতা শেরে বাংলা এ.কে.ফজলুল হক এর বিরোধিতা করেন। ১৯৪৭ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তান নামক একটি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা যখন প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়, তখনই বিতর্কটি পুনরায় শুরু হয়। ১৯৪৭ সালের ১৭ মে তারিখ চৌধুরী খলীকুজ্জামান এবং জুলাই মাসে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.জিয়াউদ্দিন আহমদ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব দেন। তাদের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলার ভাষা বিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এবং ড.মুহাম্মদ এনামুল হকসহ বেশ ক'জন বুদ্ধিজীবী এ প্রসঙ্গে প্রবন্ধ লিখে প্রতিবাদ জানান। ১৯৪৭ সালে কামরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত গণ আজাদী লীগ মাতৃভাষায় 'শিক্ষা দান' এর দাবি জানায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ২ সেপ্টেম্বর তমদ্দুন মজলিশ নামক একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। ৬-৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত উক্ত সংগঠনের যুবকর্মী সম্মেলনে 'বাংলাকে শিক্ষা ও আইন আদালতের বাহন' করার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর এ সংগঠন 'পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু' নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে। এ সময়ে তমদ্দুন মজলিশ 'ভাষা সংগ্রাম পরিষদ' গঠন করে.১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে করাচীতে অনুষ্ঠিত এক শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।  ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত গণপরিষদের ভাষা হিসেবে ইংরেজি এবং উর্দুর পাশাপাশি বাংলা ব্যবহারের দাবি জানান। তার দাবি অগ্রাহ্য হলে ২৬ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ধর্মঘট পালিত হয়। ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ' পুনর্গঠিত হয়। ১১ মার্চ 'বাংলা ভাষা দাবি দিবস' পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ঐ দিন সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ১৫ মার্চ সংগ্রাম পরিষদের সাথে ৮ দফা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় আসেন। ২১ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে অনুষ্ঠিত সভায় দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।  ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনেও তিনি অনুরূপ ঘোষণা দিলে ছাত্র সমাজ প্রতিবাদ মুখর হয়ে ওঠে এবং 'না,না' বলে তার উক্তির প্রতিবাদ জানায়। পাকিস্তান সরকার আরবি হরফে বাংলা প্রচলনের উদ্যোগ নিলে প্রতিবাদ আরো তীব্র হয়। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার কয়েক মাসের মধ্যেই পূর্ব বাংলায় ভাষাকেন্দ্রিক যে আন্দোলন শুরু হয় তা ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ।

১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন জিন্নাহকে অনুসরণ করে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার নতুন ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে ৩০ জানুয়ারি ধর্মঘট পালন করে। আবদুল মতিনকে আহবায়ক করে নতুন সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্র ধর্মঘট পালিত হয়। 

ভাষার দাবি সুপ্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প করা হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি সরকারি এক ঘোষণায় ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪৪ ধারা জারিসহ সভা সমাবেশ, মিছিল এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হ্য়। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ১০ জন করে মিছিল শুরু করা হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল এগিয়ে চলে। পুলিশ প্রথমে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে, মিছিলে লাঠিচার্জ ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি বর্ষণ করলে আবুল বরকত, জব্বার,রফিক, সালামসহ অনেকে শহিদ হন.২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিশাল শোক র‍্যালি বের হয়। এখানেও পুলিশের হামলায় শফিউর নামে একজনের মৃত্যু হয়।

শহিদদের স্মৃতি অমর করে রাখার জন্য ঢাকায় ২২ ফেব্রুয়ারি ছাত্র জনতা মেডিকেল কলেজের সামনে একটি শহিদ মিনার স্থাপন করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি শফিউরের পিতাকে দিয়ে প্রথম শহিদ মিনার উদ্বোধন করা হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ উক্ত শহিদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে। ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে কবি মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' শীর্ষক প্রথম কবিতা এবং তরুণ কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ 'স্মৃতির মিনার' কবিতাটি রচনা করেন। এ সব হত্যাকাণ্ড পূর্ব বাংলার জনগণের মনের উপর বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। আবদুল গাফফার চৌধুরী ড়োচোণা করেন, 'আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো ২১ শে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি', সঙ্গীতশিল্পী আবদুল লতিফ রচনা ও সুর করেন,'ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়', এছাড়া 'তোরা ঢাকা শহর রক্তে ভাসাইলি'র মত সঙ্গীত। ড.মুনীর চৌধূরী জেলে বসে রচনা করেন 'কবর' নাটক, জহির রায়হান রচনা করেন 'আরেক ফাল্গুন' উপন্যাসটি।  ১৯৪৭ সালে সূচিত রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫২ সালে প্রতিবাদ ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে রূপ লাভ করে। ফলে পাকিস্তান সরকার বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলা ভাশাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিজের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে পূর্ব বাংলার বাঙালি এবং অন্যান্য জনগোষ্ঠী মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস ও আত্মপ্রত্য্য খুঁজে পায়।

HSC Civics Assignment Answer 2021 5th Week

Post Related: HSC 5th week assignment 2021 pdfHSC 2021 assignment 5th week pdfHSC 2021 assignment 5th week question pdf, HSC 5th week assignment 2021HSC assignment 2021 Civics answerHSC 5th week assignment 2021 pdfassignment HSC 5th week 2021HSC 2021 assignment 1st week answerHSC Assignment 2021 5th weekHSC Assignment 2021 5th week Humanities AnswerHSC 2021 5th Week Assignment PDF DownloadHSC 2021 5th Week Assignment Question & Answer PDFHSC BM 5th Week Assignment Answer 2021 PDF Downloadhsc assignment 2021 5th week Sciencehsc assignment 2021 5th week humanitieshsc assignment 2021 5th week Commerce.
hsc assignment 2021 5th week pdf download
hsc assignment 2021 5th week question pdf
hsc assignment 2021 5th week arts
hsc assignment 2021 5th week answer
hsc assignment 2021 5th week Islam
hsc assignment 2021 5th week question
hsc assignment 2021 5th week
hsc assignment 2021 5th week question pdf download

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
Post a Comment (0)

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !
To Top